মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তার আগে বরাবরের মতো আলোচনা উইকেট নিয়ে। এবার কালো উইকেটে খেলা নিয়ে দুই দলের কোচ নিজেদের মতো করে মন্তব্য করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে কেমন হবে মিরপুরের উইকেট? অনেকের ধারণা আবারও তেমন স্লো উইকেট হতে যাচ্ছে মিরপুরে। উইকেটের ছবিতে দেখা গেছে কালো বর্ণে ধারণ করা মাটির রং। মিরপুর শেরে-ই বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটের আচরণ বোঝা যেন ঢের বেশি কঠিন। এই মাঠে খেলতে আসা বিদেশি কোচ কিংবা ক্রিকেটারদেরও কাঠগড়ায় থাকে উইকেট। সবশেষ বাংলাদেশে খেলতে এসে মিরপুরের উইকেট নিয়ে ক্ষোভ ঝেরেছেন পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন।

বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স এই উইকেট নিয়ে সিমন্স বলেন, 'আমার চেয়ে আপনারাই মিরপুর ভালো চেনেন, তাই না? (হাসি)। মিরপুরের ব্যাপারে আমার চেয়ে বেশি জানেন আপনারা। তো আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কারণ আমি উইকেট দেখেছি। দেখা মনে হয়েছে, মিরপুরের সচরাচর উইকেটের মতোই। তো এতে টার্ন থাকবে। যা ভালো।' সিমন্সের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ ড্যারেন সামি ও অধিনায়ক শাই হোপ। তাদের কাছেও উইকেটের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে হোপ বলেন, উইকেট যেমনই হোক, মানিয়ে নিতে হবে তাদের, 'আমি উইকেট দেখিনি। অনুশীলন শুরুর পর দেখতে পারি। তবে প্রধান কোচের সঙ্গে যা কথা হয়েছে, আমরা যেমন উইকেটের সঙ্গে পরিচিত, এর চেয়ে ভিন্ন হবে। তবে দেশের বাইরে খেললে এমনই হয়। দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। এটিই গুরুত্বপূর্ণ।' বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স মনে করছেন বরাবরের মতো এই সিরিজেও স্পিন সহায়ক হবে উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ সামি বিস্ময় নিয়ে বলেছেন, আমি উইকেট দেখেছি। নিশ্চিত নই, আমরা এরকম কিছু তৈরি করতে পারবো কি না। এরকম উইকেট আমরা আগে কখনও দেখিনি। তবে সবাই জানি, উপমহাদেশের কন্ডিশন ব্যাটসম্যানদের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং। আমি মনে করি, যারা ভারতে খেলছে বা সেখান থেকে এসেছে, তাদের জন্য এটা একটা সুবিধা, কারণ ওরা এমন বা কাছাকাছি কন্ডিশনে অভ্যস্ত। সংবাদ সম্মেলনে সামির পাশেই বসা ছিলেন অধিনায়ক শাই হোপ। তিনি বলেছেন, আমি উইকেট দেখিনি। অনুশীলন শুরুর পর দেখতে পারি। তবে প্রধান কোচের সঙ্গে যা কথা হয়েছে, আমরা যেমন উইকেটের সঙ্গে পরিচিত, এর চেয়ে ভিন্ন হবে। তবে দেশের বাইরে খেললে এমনই হয়। দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। এটিই গুরুত্বপূর্ণ।