টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আরব- আমিরাতের কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ দল। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে শেষ দিকে বোলিং ব্যর্থতায় স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ২ উইকেটে পরাজিত হলো টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করে একটি লড়াকু স্কোর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আমিরাতও নিয়মিত উইকেট হারালেও শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়ায়। ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত উত্তেজনা বজায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত ২ উইকেট হাতে রেখে জয়ের দেখা পায় স্বাগতিকরা।

টি-টোয়েন্টিতে টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের বিপক্ষে সহযোগী কোনো দেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করা জয় এখন এটিই। আমিরাতের এই জয়ে সিরিজে এখন ১-১ সমতা। বিসিবির অনুরোধে এই সিরিজে আরও একটি ম্যাচ সংযুক্ত করা না হলে সিরিজ জয়ের শেষ সুযোগটাও পেত না বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচের মতো শারজাতেই আজ বুধবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে পারভেজ হোসেনের সেঞ্চুরির পরও দুই শ করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে আবার বাংলাদেশ দুই শর দেখা পেলেও সর্বোচ্চ ৫৯ রান এসেছে তানজিদের ব্যাট থেকে।

বাংলাদেশের দেয়া ২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালাতে থাকেন আমিরাতের দুই ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম ও জোয়াইব খান। বিশেষ করে ওয়াসিম একক দাপটে ৮২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন। ৩৮ রানে থাকা জোয়াইবকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন বাংলাদেশের স্পিনার তানভীর ইসলাম। ওয়াসিম আউট হওয়ার পর ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দিকে হায়দার আলির ৬ বলে ১৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ম্যাচ বের করে নেয় আমিরাত। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। চাপের মুহূর্তে ছন্নছাড়া বোলিং করেন তানজিম সাকিব- হোয়াইট, ফুল টস ছক্কা ও একটি নো বল দিয়ে প্রতিপক্ষকে ম্যাচ উপহার দেন তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও তানভীর ইসলাম ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন তানজিদ তামিম। পাওয়ার প্লেতে এদিন কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৬ রান করে বাংলাদেশ। প্রায় এক বছর আর ১৪ ইনিংস পর টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী জুটিতে ফিফটি পায় দল। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ব্যক্তিগত ফিফটি করেন তামিম। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এমন কীর্তি গড়েন। ২৫ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। তবে এর পর আর বেশি দূর এগোতে পারেননি। ৩৩ বলে ৫৯ রান করে ফিরে যান এই ওপেনার।

তিনে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেন শান্তও। তার স্ট্রাইকরেট নিয়ে বেশ সমালোচনা হলেও এদিন উইকেটে এসেই শট খেলেন। তবে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৯ বলে করেন ২৭ রান। একই পথে হেটেছেন তাওহীদ হৃদয়ও। দারুণ ব্যাটিং করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটার সাজঘরে ফিরেছেন ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪৫ রান।বাকিরা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করার চেষ্টা করেন লিটন। ৩২ বলে ৪০ রান করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এ ছাড়া শেষদিকে দারুণ ক্যামিও খেলেছেন জাকের আলি। এই উইকেটকিপার ব্যাটারের ব্যাট থেকে ৬ বলে ১৮ রান এসেছে।