বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) স্থানীয় কোচ এবং ক্রিকেটারদের উদ্বুদ্ধ করতে আয়োজন করেছে তিন দিনব্যাপী লেভেল-১ কোচিং কর্মশালা। যে কর্মশালায় ব্যাপক সাড়া পেয়েছে বিসিবি। শুধু ক্রিকেটার নয়, বিভিন্ন সংস্থা থেকেও কোচিংয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন অনেকে। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের হেড অব অপারেশন্স হাবিবুল বাশার জানালেন, দেশে এখন কোচিং পেশায় আগ্রহ বাড়ছে, এটা ক্রিকেটের বিকাশের জন্য ইতিবাচক সংকেত। অবশ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে কেউ আম্পায়ারিংকে বেছে নিয়েছেন। কেউ বেছে নিয়েছেন কোচিংকে। কেউ বা প্রশাসনিক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। তবে আনুপাতিক হারে ক্রিকেট কোচিংয়ে মনোযোগটা একটু কমই পড়েছে। কেননা ক্রিকেট কোচিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট কোর্স আছে, সেসব কোর্সে ধাপে ধাপে পার করতে হয়। নানা ধাপ পেরোনোর পরই মিলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। গতকাল মিরপুরে হাবিবুল বাশার বলেছেন, ‘ক্রিকেটটা ছড়িয়ে দিতে হলে শুধু ক্রিকেট খেললেই হবে না, ক্রিকেট এডুকেটেড হওয়া খুব জরুরি। তাই এখানে যারা (কোর্স করতে) আসছেন, তারা আসলে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করেন। আমরা যদি তাদের সঠিক প্রশিক্ষণ দিতে পারি, একটু আপগ্রেড করতে পারি, সেটা দিনশেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই কাজে লাগবে। আমরা সামনে আরও বেশি বেশি এ ধরনের সেমিনার করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘কোয়ালিটি কোচিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটারই একটা প্রয়াস আমাদের এবারের সেমিনার। আমাদের ক্রিকেটারদের আগে এত কোচিংয়ে আসতে দেখিনি। ইনফ্যাক্ট পাঁচ-দশ বছর আগেও এত কোচিংয়ে আসতে চাইত না। এখন অনেককেই দেখছি, প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার শেষ করে কোচিংয়ে আসতে চাইছে।’ খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন এমন ক্রিকেটাররাও কোচিংয়ে আসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে যা মনে ধরেছে হাবিবুলের। বিসিবি তাদের পাশে থাকবে এবং সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের এগিয়ে নেবে সেই আশ্বাসও দিয়েছেন, ‘লেভেল ওয়ান কোর্স করার জন্য অনেকের সিভি জমা পড়েছে। অনেকের সিভি জমা পড়েছে মানে যারা ফার্স্ট ক্লাস প্লেয়ার যারা এখনো খেলছেন অথবা আর এক দুই বছর খেলবেন তারা কোচিংয়ে আসতে চাচ্ছেন। ভালো কোচ যদি আমরা প্রডিউস করতে পারি তাহলে অবশ্যই বাইরের দেশে তারা ডাক পাবেন। বাট আমার আসলে মূল চিন্তার বিষয় আমাদের যে ক্রিকেটটা সেখানে কিভাবে আমরা আরো ভালো কোচ বানাতে পারি, সেখানে কীভাবে ভালো কোচিং করাতে পারি।’