ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে সিসিডিএমের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বেশ ক্ষুব্ধই হয়েছেন দেশসেরা আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। আর তারই প্রেক্ষিতে ক্রিকেট বোর্ডের কাছে চাকরি ছাড়তে চেয়ে পত্র দিয়েছেন বলেও জানা যায়। যার কারণে গতকালই আম্পায়ার সৈকতের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। সৈকতের সঙ্গে তিনি ফলপ্রসূ আলোচনার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের আম্পায়ারিংয়ে থাকছেন সৈকত! কেবল তাই নয়, তাওহীদ হৃদয়কে দেওয়া শাস্তিও বলবৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন করে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন হৃদয়। প্রঙ্গত, আম্পায়ারের সঙ্গে অসাদাচরণের দায়ে ডিপিএলের সুপার লিগের ম্যাচে ডিমেরিট পয়েন্ট এবং আর্থিক জরিমানার শাস্তি হয়েছিল হৃদয়ের। বিসিবির কোড অব কনডাক্ট অনুযায়ী, ৪ থেকে ৭ ডিমেরিট পয়েন্টের জন্য ক্রিকেটারদের ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। ৭টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়ে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন হৃদয়। যদিও পরে মোহামেডানের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট তুলে নেয়া হয়। ফলে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা কমে যায় তার। আর এই বিষয় নিয়েই ক্ষুব্ধ ছিলেন শরফুদ্দৌলা সৈকত। এমনিতেই আম্পায়ারদের সঙ্গে অসদাচরণের কারণে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহামেডানের তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেলেও তাওহীদকে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে দেখা যায়। দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থায় তিনি কীভাবে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেন, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এই ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এসব ঘটনায় শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত বিসিবির অধীনে আম্পায়ারিং থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
ক্রিকেট
বিসিবিতে থাকছেন সৈকত
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে সিসিডিএমের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বেশ ক্ষুব্ধই হয়েছেন দেশসেরা আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত।
Printed Edition
