অবশেষে তাসকিন বিতর্কের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। গণমাধ্যমকে সৌরভ জানান, দুই পরিবারের আলোচনার ভিত্তিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে এবং তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে বন্ধু সিফাতুর রহমান সৌরভের মারধরের অভিযোগ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছিল ব্যাপক আলোচনা। যদিও তাসকিন শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। বিষয়টির সুরাহা হলেও তাসকিনকে নিয়ে এখন কিছুটা মানসিক আঘাত বয়ে বেড়াচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন সৌরভ, ‘অবশ্যই আমার ছোটবেলার বন্ধু। সামনে তার অনেক কিছু দেয়ার আছে বাংলাদেশ দলকে। শুভকামনা জানাবো অবশ্যই। ক্রিকেটার হিসেবে তাসকিন আহমেদকে আমি চিনি এখন। আমি এখন এই ব্যাপার নিয়ে একটু ট্রমাটাইজড। আমাকে একটু সময় দিতে হবে।’ তাসকিনের বিরুদ্ধে সোমবার মিরপুর মডেল থানায় মারধরের অভিযোগ করেছিলেন সৌরভ।

এ ব্যাপারে সেদিন তাসকিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার বন্ধু রসি নামে একজন আছেন, ওরা আমার এই বন্ধুকে মেরেছে। তাই আমি মোহাম্মদপুর থানার ওসি সাহেবকে ফোন করেছিলাম। পুলিশ গিয়ে ওদেরকে মোহাম্মদপুরে খুঁজেছে। এজন্য এরা উল্টো আমার নামে জিডি করেছে। ওর (সৌরভ) খালা আমার বাবাকে ফোন দিয়ে বিচার দিয়েছিল। কিছু কথা ওরা রেকর্ড করেছে। আমার বাবা আবার ওই ঘটনার কিছুই জানতো না। উনি পরে শুনে কিছু কথা বলেছে। সাথে এটাও বলেছে, ‘ওরা ছোট বেলার বন্ধু, এক সাথে মিলে মিশে থাকবে।’ আসলে গত কয় মাস ধরে ওদের সাথে এখন মিশি না, তাই এখন ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’’ অভিযোগ তুলে নেয়ার পর তাসকিনের বন্ধু সৌরভের কাছে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্ন, কী এমন ঘটেছিল যাতে ব্যাপারটা থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সৌরভ আকার-ইঙ্গিতে তাসকিনকেই দোষারোপ করলেন, ‘আসলে এখন দুই পরিবারের পারস্পরিক আলোচনায় সমাধান হয়ে গেছে। বন্ধুদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে। সেখান থেকেই ঝামেলার শুরু। এর আগে আমি স্যরি বলিনি। অভিযোগও তুলে নেইনি। এবার আমরা পারিবারিকভাবে মিলে সমাধান করেছি।’ এ ব্যাপারে তাসকিনের আরেক বন্ধু ইশতিয়াক আহমেদ হৃদয় বলেছেন, ‘যদি আমার বা আমার বন্ধুর কোনও দোষ থাকতো, তাহলে কিন্তু তার (তাসকিন) বাবা মুচলেকা দিতে আসতেন না। মুচলেকা দিয়ে অভিযোগ তুলে নেয়া হয়েছে।’

এদিকে, সৌরভের খালা ঝুমা খান জানান, ‘৪৮ ঘণ্টার সময় চেয়েছিলাম। উনারা (তাসকিনপক্ষ) এসে সময় নিয়ে মুচলেকা দেন এবং পারিবারিকভাবে মীমাংসা হয়। আমাদের অভিযোগ ছিল মূলত সৌরভের নিরাপত্তার কথা ভেবেই, ভবিষ্যতে যাতে এমন কিছু না হয়, সেটাই নিশ্চিত করা হয়েছে।’