এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্সের ফাইনালে পাকিস্তান শাহীনসের কাছে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। ফাইনালে অবশ্য সুপার ওভারে হেরেছে বাংলাদেশ। গতকাল দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। টুর্নামেন্ট শেষ করে সোমবার গভীর রাতে দেশে ফেরে জুনিয়র টাইগাররা। আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন দল পরপর দুই ম্যাচে সুপার ওভারের নাটকীয়তা দেখেছে। সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সফল হলেও ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে পারেনি তারা। আকবরের মতে, টুর্নামেন্টের দলগুলো সুপার ওভারের অভিজ্ঞতায় অভ্যস্ত নয়। ফাইনালের সুপার ওভারে চার বল হাতে থাকা অবস্থায় বেপরোয়া শট খেলার চেষ্টা করে আউট হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্যাটার জিশান আলাম। তার স্টাম্প উড়ে গেলে বাংলাদেশের হাতে থাকা বাকি তিনটি বল অপচয় হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকাল সাংবাদিকদের আকবর আলী বলেন, ‘কোনও দলই সুপার ওভারে অভ্যস্ত নয়। কারণ এটা খুব কমই হয়। টানা দুই ম্যাচে দুই সুপার ওভার তো আরও বিরল। সুপার ওভারে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতেই হয়। কখনো সেটা কাজে দেয়। কখনো দেয় না।’ ফাইনালে পাকিস্তানের দেওয়া ১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’। তবে আব্দুল গাফফার সাকলাইন ও রিপন মণ্ডলের দারুণ জুটিতে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। কিন্তু সুপার ওভারে ‘বাই’ থেকে একটি চার পেলেও দ্রুত আউট হন সাকলাইন ও জিশান। সুপার ওভারে হাবিবুর রহমান সোহান ও সাকলাইনকে পাঠানোর ব্যাখ্যাও দেন আকবর, ‘সোহান পুরো টুর্নামেন্টের আমাদের সেরা ব্যাটার ছিল। তাই তাকেই পাঠানো হয়েছে। আর সাকলাইন ম্যাচে দারুণ ছন্দে ছিল।’ এতো কাছে গিয়ে শিরোপা হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ দল। আকবরের ভাষ্য, ‘যেখান থেকে আমরা ম্যাচে ফিরে এসেছি, সেখান থেকে সুপার ওভারে হারা অবশ্যই হতাশার। চেষ্টা ছিল কিন্তু হয়নি। তবে বেশিরভাগ ম্যাচেই আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি।’ ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে আকবর নিজেও একটি হাস্যকর ভুল করেন। স্টাম্প ভাঙতে দৌড়ে যাওয়ার বদলে কাছ থেকে থ্রো করে অতিরিক্ত রান দিয়ে বসেন। যা ম্যাচটিকে সুপার ওভারে নিয়ে যায়। নিজের সেই অদ্ভুত ভুলের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি, ‘আমি জানি না কী হয়েছিল, এর কোনও ব্যাখ্যাও আমার নেই। যে ভুল আমি করেছি, সেটা তো অনূর্ধ্ব–১২ খেলোয়াড়ও করবে না।’ সেমি-ফাইনালে আগে ব্যাট করে ১৯৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ ‘এ’। ভারতও ঠিক একই স্কোরে থামলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। রিপন মণ্ডলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শূন্য রানে দুই উইকেট তুলে নিয়ে সহজেই ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। ফাইনালে গল্পটা অন্যরকম। পাকিস্তানকে ১২৫ রানে অলআউট করে দিয়েও নিজেদের ব্যাটিং লাইনআপ ধসে পড়ে ৫৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে। শেষ লড়াইয়ে ম্যাচ টাই হলেও সুপার ওভারে আর রক্ষা হয়নি।
ক্রিকেট
সুপার ওভারের ক্রিকেট পুরোপুরিই ঝুঁকির খেলা -------------------আকবর আলী
এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্সের ফাইনালে পাকিস্তান শাহীনসের কাছে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। ফাইনালে অবশ্য সুপার ওভারে হেরেছে বাংলাদেশ। গতকাল দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।