জাতীয় পর্যায়ের সব দলই এখন হয় দেশে নেই, নয়তো ঢাকার বাইরে। শ্রীলঙ্কা সফর শেষে মাত্রই দেশে ফেরা অনূর্ধ্ব-১৯ দলও আছে বিশ্রামে। কোনো দলেরই অনুশীলন না থাকায় মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামও গত বৃহস্পতিবার তাই নিস্তরঙ্গ এক দুপুর পার করছিল। তবে অলস দুপুরেও বেশ নড়েচড়ে বসল স্টেডিয়ামের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কার্যালয়।কারণ ততক্ষণে ভিনদেশিদের একটি দল তাদের শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে এই দেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ দেখতে এসেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এঁরা সবাই যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ডিফেন্স কলেজের শিক্ষার্থী। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ১৩টি দেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্য। তাঁদের আতিথ্যে কোনো কমতি না রাখা বিসিবি অবশ্য একই সময়ে নিজেদের ‘ডিফেন্স সিস্টেম’ও মজবুত করার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়েছে।কারণ তাঁদের রক্ষণ ভেঙে ইদানীং অনেক স্পর্শকাতর তথ্য বাইরে চলে যাচ্ছে। সেসব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে মানুষের ঘরে ঘরেও পৌঁছে যাচ্ছে অবলীলায়। তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে গুরুত্বপূর্ণ নথি যে সশরীরে গিয়ে নিয়ে আসতে হয় না, সেটিও অজানা নয় দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট প্রশাসনের। বরং সিপিআইএমএসের (ক্রস প্ল্যাটফরম ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং সার্ভিস) মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দলিলও খুব সহজে বেহাত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে বিসিবির কর্মীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।এরই অংশ হিসেবে গত এক সপ্তাহের মধ্যে বিসিবি কার্যালয়ে বেড়েছে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা।