পিএসএলের দশম আসরের ফাইনালে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলেছে লাহোর কালান্দার্স। ফাইনালে লাহোরের হয়ে খেলেছেন বাংলাদেশি স্পিনার রিশাদ হোসেন। এ ছাড়া স্কোয়াডে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। রোববার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পিএসএলে ফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের বিশাল পূঁজি পায় কোয়েট্টা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ১৯.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লাহোর। এই জয় দিয়ে পিএসএলের সবচেয়ে সফল দল লাহোর কালান্দার্স। ২০২২ এবং ২০২৩ সালের পিএসএল জিতে লাহোর। মাঝখানে ২০২৪ সালে শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি তারা। ২০২৫ সালে এসে ফের পিএসএল চ্যাম্পিয়ন হলো শাহিন আফ্রিদির দল লাহোর কালান্দার্স। পিএসএলের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপার পাশাপাশি অর্থ পুরস্কারও পেয়েছে লাহোর। এ ছাড়া রানার্স-আপ ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতেও ছিলও প্রাইজমানি। লাহোর চ্যাম্পিয়ন হয়ে পেয়েছে ৫ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৪ কোটি পাকিস্তানি রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৫ লাখ টাকার কাছাকাছি। রানার্স-আপ হওয়া কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স পেয়েছে ২ লাখ মার্কিন ডলার বা ৫ কোটি ৬০ লাখ পাকিস্তানি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি।
পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা কোয়েটারের ডানহাতি ব্যাটসম্যান হাসান নেওয়াজ ‘টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড়’ নির্বাচিত হয়েছেন। ব্যাট হাতে ৩৯৯ রান করেন নেওয়াজ। টুর্নামেন্টসেরা হয়ে ৩০ লাখ পাকিস্তানি রুপি এবং একটি বিদ্যুৎচালিত গাড়ি, বিওয়াইডি সিল মডেলের। টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবেও তিনি পেয়েছেন আরও ৩৫ লাখ রুপি। এ ছাড়া ৩৫ লাখ রুপি করে অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন শাহিন আফ্রিদি (সেরা বোলার), আবদুস সামাদ (সেরা ফিল্ডার), সিকান্দার রাজা (সেরা অলরাউন্ডার), মোহাম্মদ হারিস (সেরা উইকেটকিপার) এবং মোহাম্মদ নাঈম (সেরা উদীয়মান) খেলোয়াড়। ফাইনালে লাহোরের হয়ে ৩১ বল খেলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন লংকান ব্যাটার কুশল পেরেরা। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি পুরষ্কার পেয়েছেন এই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার।
পিএসএলের প্রাইজ মানি ও পুরস্কার তালিকা : চ্যাম্পিয়ন- লাহোর কালান্দার্স, রানার্স-কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স, টুর্নামেন্টের সেরা অলরাউন্ডার-সিকান্দার রাজা, টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডার- আবদুল সামাদ, টুর্নামেন্টের সেরা বোলার- শাহিন শাহ আফ্রিদি, টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটার- হাসান নওয়াজ, সর্বোচ্চ রান- সাহেবজাদা ফারহান, সর্বোচ্চ উইকেট- শাহিন আফ্রিদি, ফাইনালের সেরা ক্যাচ- আবিষ্কা ফার্নান্ডো, টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার- মোহাম্মদ নাঈম, টুর্নামেন্ট সেরা- হাসান নওয়াজ, টুর্নামেন্টের সেরা আম্পায়ার- আসিফ ইয়াকুব, ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার- কুশল পেরেরা।