বাংলাদেশ ও ভারতের সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালটি শেষ হতে পারতো নির্ধারিত সময়েই। কলম্বোর রেসকোর্স স্টেডিয়াম নাটকীয়তা তুলে রেখেছিলে বলেই শেষ বাঁশির ঠিক আগে ম্যাচে সমতা এনেছিল বাংলাদেশের কিশোররা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ভুটানিজ রেফারি ইনজুরি সময় দিয়েছিলেন ৫ মিনিট।
বাড়িয়ে দেওয়া সেই সময় পেড়িয়ে খেলা গড়িয়েছিল ৯৬ মিনিটে। তখনই বাংলাদেশ গোল করে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচটি নিয়ে যায় টাইব্রেকারে। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ২-২ গোলে। তবে টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ হয় গোলাম রব্বানী ছোটনের দলের। ভাগ্য নির্ধারণী টাইব্রেকারে বাংলাদেশ হেরে যায় ৪-১ গোলে।
টাইব্রেকারে ভারত টানা চার শটেই গোল করে। বাংলাদেশ তিন শট নিয়ে প্রথম দুটিই মিস করেছে। ইকরামুলের শট পোস্টে লেগেছে, আজম খানের শট রুখে দিয়েছেন ভারতের গোলরক্ষক। মানিক তৃতীয় শটে গোল করে কিঞ্চিত আশার আলো জ্বালালেও শেষ রক্ষা হয়নি। ভারতের চতুর্থ শটে শুভম কনিয়া লক্ষভেদ করলে বাংলাদেশকে বাকি দুই শট নিতে হয়নি।
এ নিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দুইবার ভারতের কাছে হারলো। গত বছর ভুটানে হওয়া ফাইনালে বাংলাদেশ হেরেছিল ২-০ গোলে। এবার হারলো টাইব্রেকারে। নির্ধারিত সময়ে ভারত এগিয়ে গিয়েছিল চতুর্থ মিনিটেই। ২৫ মিনিটে মো. মানিক গোল করে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। তবে ভারত আবার এগিয়ে যায় ৩৯ মিনিটে।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো খেললেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না। ফরোয়ার্ডরা সুযোগ নষ্ট করেছেন। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ক্রসবারও। এক সময় মনে হয়েছিল নির্ধারিত সময়েই ম্যাচটি জিতে নেবে ভারত। ৯৬ মিনিট পর্যন্ত ভারত ২-১ গোলে এগিয়ে থাকায় বিজয় উল্লাসের অপেক্ষায় ছিল তারা। তবে শেষ মুহূর্তে গোল করে ম্যাচটি টাইব্রেকারে নিয়েছিল বাংলাদেশ।