পিছিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। মে মাসে মাঠে গড়ানোর কথা থাকলেও নতুন সূচিতে আগামী ১৫ জুন থেকে শুরু হবে বিসিএল। একযোগে অনেকগুলো খেলা থাকায় ভেন্যু সংকটের কারণে সূচী পেছাতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।আকরাম বলেন, ‘গত মাসে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। কয়েকটি দল আসছে- 'এ' দল, ইমার্জিং দল। তাই ভেন্যু পাচ্ছি না বিধায় আমরা বিসিএলটা করছি জুনের ১৫ তারিখ থেকে। জুলাইয়ের ২-৩ তারিখে শেষ হবে। আমরা জানি আবহাওয়ার একটু সমস্যা হবে। কিন্তু আমাদের করার কিছু নেই। কারণ সব দিকে তাকিয়েই এটা আমরা করেছি। বিসিএল যেটা শুরু হওয়ার কথা ছিল মে মাসে, সেটা এখন ১৫ জুন থেকে শুরু করছি। ঢাকা, চট্টগ্রাম বা সিলেটে খেলাগুলো হবে।’তিনি আরও যোগ করেন, ‘গত ৬-৭ মাস আগে থেকে আমরা ধরে রেখেছিলাম, বিসিএলটা মে মাসে হবে। কিন্তু দুই-তিনটা সিরিজ ঘরের মাঠে হওয়ায় মাঠগুলো পাচ্ছি না এবং ক্রিকেটারদেরও পাব না। কারণ বিসিএলে আমরা ৮টা বিভাগ থেকে নিয়ে ৪টা দল বানাই। সেই জায়গায় আমরা পারছি না বিধায় জুনে নিয়ে গেছি। ক্রিকেটারদের জন্য একটু কষ্ট হবে। কিন্তু আর কিছু করার নেই।’কয়েক বছর ধরে ডিসেম্বরে অর্থাৎ শীতের সময়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বিসিএল। ঘরোয়া ক্রিকেটের নতুন সূচিতে বিসিএলকে সরিয়ে আনা হয় এপ্রিল-মে মাসে। বিসিএলের পুরনো সময়ে আয়োজন করা হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি সংস্করণ। চলমান ডিপিএল শেষ হওয়ারই মাঠে গড়ানোর কথা ছিল বিসিএলের এবারের আসর।কিন্তু ডিপিএলের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় দল, যা শেষ হবে ২ মে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ভেন্যু ব্যস্ত থাকবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও ইমার্জিং দলের সিরিজ নিয়ে।

যে কারণে বিসিএল আয়োজনের জন্য প্রে্যু পাচ্ছে না টুর্নামেন্ট কমিটি। এক প্রকার বাধ্য হয়ে মে মাস থেকে জুনে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বিসিএল। ম্যাচগুলো হতে পারে ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা সিলেটের মতো টেস্ট ভেন্যুগুলোতে।চার দলের এ টুর্নামেন্টটি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক হলেও ওয়ালটন আর ইসলামী ব্যাংক ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ দেখা যায় না। এ প্রসঙ্গে আকরাম খান বলেন, ‘বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি আনার চেষ্টা করব। এটা নিয়ে আলাপ চলছে। বাইরের ২-৩টা প্রতিষ্ঠানের কাছে আমরা যাব। সেই চেষ্টা আমাদের থাকবে। আশা করি ২-১টা প্রতিষ্ঠান আসবে।’