সর্বশেষ বিপিএলে ফাইনাল খেলা চিটাগং কিংসকে আর দেখা যাবে না আসন্ন দ্বাদশ বিপিএলে। এমনকি আগামী পাঁচ মৌসুমের জন্য এই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বিপিএল থেকে বাদ দিয়েছে বিসিবি। কিংসের কাছে বকেয়া পাওনা এবং পুরোনো আইনি জটিলতার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বোর্ড। এদিকে, চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি নেয়ার দৌড়ে আছে ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেস লিমিটেড। বিপিএলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু নিশ্চিত করেছেন, প্রাথমিক যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় চিটাগং কিংসসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তবে কিংসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার মূল কারণ হলো তাদের বকেয়া পাওনা। বিসিবির আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন রহমান জানান, ‘তাদের (চিটাগং কিংস) বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। তাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করার জন্য যত আইনি প্রক্রিয়া কোনোটা আমরা বাদ রাখছি না। আমরা কঠিন আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

বিপিএলের প্রথম দুই আসর থেকেই কিংসের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থতার ইতিহাস রয়েছে। সবশেষ আসরেও ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও অন্যান্য কর্মীদের পারিশ্রমিক দেয়নি তারা। চিটাগং কিংস থেকে প্রধান কোচ শন টেইট প্রায় ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার পান, মেন্টর শহীদ আফ্রিদি এবং উপস্থাপিকা ইয়াশা সাগরও পারিশ্রমিক পাননি। এছাড়াও, ঢাকার শেরাটন হোটেল ২৯ লাখ ও সিলেটের রোজ ভিউ হোটেল ১৭ লাখ টাকা বকেয়া দাবি করেছে। মিঠু এই প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের কাছে যে অভিযোগগুলো এসেছে- টেইট তাদের কাছে প্রায় ৩৭ হাজার ডলার পায়, রোজ ভিউ হোটেল সিলেট তারা প্রায় ১৭ লাখ টাকা ক্লেইম করেছে, শেরাটন হোটেল ২৯ লাখ টাকা পায়। আপনারাও জানেন অনেক ক্রিকেটার কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসে বলছে তারা টাকা পায়নি। এর আগে শহীদ আফ্রিদিও ক্লেইম করেছিল, ইয়াশা সাগরও অভিযোগ করেছিল। সঙ্গে আমাদের আগের আসরেও বিবাদ আছে, আর্বিটেশনে চলছে। এটা চিটাগং কিংসের পরিস্থিতি।’