এশিয়া কাপে সুপার ফোরে শ্রীলংকাকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। টাইগার প্রধান কোচ ফিল সিমন্স মনে করেন, এই ম্যাচে ভারতকেও হারানো সম্ভব। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আসেন ফিল সিমন্স। ভারতকে হারানোর বিষয়ে নিজেদের সামর্থ্যের কথা জানান তিনি। বাংলাদেশ কোচ অবশ্য স্পষ্ট করে বলেছেন ভারতকে ভুল করতে বাধ্য করবে টাইগাররা। সিমন্স বলেন, 'প্রত্যেকটা দলেরই ভারতকে হারানোর সামর্থ্য আছে। পুরোটা আসলে ওই দিনের খেলার ওপর নির্ভর করে। ভারত আগে কী করেছে সেটা বড় বিষয় নয়। আজ তারা কী করে সেটাই দেখার বিষয়। ম্যাচের ওই সাড়ে তিন ঘণ্টার ওপর সবকিছু নির্ভর করে। যতটা সম্ভব চেষ্টা করব নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে। পাশাপাশি আশা করি ভারতকে ভুল করতে বাধ্য করব। এভাবেই আপনি ম্যাচ জিততে পারেন।' আপাত দৃষ্টিতে কাগজে-কলমে এবং পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ থেকে বেশ এগিয়ে ভারত। তবে শ্রীলংকাকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়েই ভারতকে হারাতে চান সিমন্স। তিনি বলেন, 'দেখুন বিশ্বাস তো রাখতেই হবে। আমরা বসে এসব নিয়ে নিজেরা কথা বলেছি। আমাদের সবার মধ্যে ওই বিশ্বাসটা আছে যে আমাদের সুযোগ আছে। আমরা যদি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পাই তাহলে সেটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আমাদেরকে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার সুযোগ আমাদের আছে।' আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ভারতকে হারানোর অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের খুব সীমিত। ১৭ ম্যাচে মাত্র একবারই জয় পেয়েছে টাইগাররা। সেটাও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। বহুজাতিক টুর্নামেন্টে ভারত এখনও অজেয়। তাই ভারতকে হারাতে গেলে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হতে হবে বিশ্বাস। সিমন্সও তাই মনে করেন, ‘বিশ্বাস থাকতে হবে। দলের সঙ্গে বসে আলাপ করার পর আমরা বিশ্বাস করেছি যে আমাদের সুযোগ আছে। যদি কোনো সুযোগ আসে, সেটা আঁকড়ে ধরতে হবে। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে ভারতের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে।’ তার মতে, দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ, তাই টস ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করবে না, ‘৪০ ওভার জুড়ে উইকেটে তেমন কোনও পরিবর্তন দেখিনি। এটা বেশ কিছুদিনের মধ্যে এখানকার সেরা উইকেটগুলোর একটি। গতরাতেও (ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে) একই রকম ছিল। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ ছিল। বোলারদের সঠিক জায়গায় বল করতে হয়েছে। আমার মনে হয় না টসের তেমন প্রভাব আছে।’ বাংলাদেশকে একমাত্র সুপার ফোরে টানা দুটি ম্যাচ খেলতে হবে। ভারতের পরদিনই তারা মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের। সেপ্টেম্বরের গরম আর টানা ম্যাচ খেলার ধকলকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি। দুবাই-আবুধাবির তীব্র গরমে একের পর এক টি-টোয়েন্টি খেলা শারীরিকভাবে কঠিন- তা স্বীকারও করলেন সিমন্স, ‘টানা টি-টোয়েন্টি খেলা, টানা ওয়ানডে খেলাÑখুবই কঠিন। এটা ভালো কিছু নয়। তবে আমরা প্রস্তুত, কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি মনে করি ছেলেরা যথেষ্ট ফিট, টানা ম্যাচ সামলাতে পারবে। কিন্তু কোনও দলের জন্যই টানা টি-টোয়েন্টি খেলা ন্যায্য নয়। মানুষ যেমনটা ভাবে, আসলে এর চেয়ে অনেক বেশি কঠিন।’ এসময় জোর দিয়ে সিমন্স বলেন, তারা শুধু শ্রীলংকার বিপক্ষেই জিততে আসেননি। লক্ষ্য তাদের এশিয়া কাপ, ‘আমি সাধারণত নিজের আবেগ যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি। আমরা এখানে শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটা ম্যাচ জিততে আসিনি। এসেছি পুরো টুর্নামেন্ট জিততে... তখনই আমি আবেগ প্রকাশ করতে পারবো। তবে এখনও ড্রেসিংরুমে সবাইকে বাস্তবতার জমিনে রাখাই আমার দায়িত্ব।’
ক্রিকেট
সব দলেরই সামর্থ্য আছে ভারতকে হারানোর ----সিমন্স
এশিয়া কাপে সুপার ফোরে শ্রীলংকাকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। টাইগার প্রধান কোচ ফিল সিমন্স মনে করেন, এই ম্যাচে ভারতকেও হারানো সম্ভব।
Printed Edition
