সাকিব আল হাসান মাঠে ফিরে অলরাউন্ড নৈপূণ্য মেলে ধরলেও দল কে জিতাতে পারেননি। সাকিব বল হাতে নিয়ন্ত্রিত বোলিং, ফিল্ডিংয়ে চমৎকার উপস্থিতি আর ব্যাট হাতে দ্রুত রান করলেও জয়ের দেখা পায়নি তার দল মায়ামি ব্লেজ। আমেরিকার মাটিতে জমজমাট ম্যাক্স সিক্সটি টুর্নামেন্টের প্রথম দিন শেষে তারা রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের একেবারে নিচে। ১৭ জুলাই, বুধবার একদিনেই দুটি ম্যাচ খেলেছে মায়ামি ব্লেজ। প্রথম ম্যাচে ছিলেন না সাকিব। সদ্য শেষ হওয়া গ্লোবাল সুপার লিগে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে খেলে ফেরা এই তারকা দ্বিতীয় ম্যাচেই মাঠে নামেন। কিন্তু সাকিববিহীন প্রথম ম্যাচে বোকা রাটন ট্রেইলব্লেজার্সের কাছে ৩২ রানে হেরে শুরুটা হতাশার ছিল। ট্রেইলব্লেজার্সের দেওয়া ১১৩ রানের জবাবে মায়ামি সংগ্রহ করে মাত্র ৮০ রান। তবে রাতের দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব আল হাসানের প্রত্যাবর্তন আশার সঞ্চার করলেও, শেষ রক্ষা হয়নি। ফ্লোরিডা লায়ন্সের বিপক্ষে ৯ রানে হেরে যায় মায়ামি ব্লেজ। বল হাতে সাকিব তুলে নেন দুই উইকেট আর রান দেন মাত্র ১৯। তাতে ছিল দুটি দারুণ ক্যাচ ও একটি চমৎকার রান আউটও। ব্যাট হাতে শুরুটাও করেছিলেন আক্রমণাত্মকভাবে, ৮ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৩ রান। এরপর এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে। দলের অন্যান্য ব্যাটারদের অবস্থা ছিল আরও নাজুক। ওপেনার অ্যাঞ্জেলো পেরেরা আউট হন মাত্র ২ রানে। কিছুটা লড়াই করেছিলেন শিহান জয়াসুরিয়া (২৫) ও শ্রীভাতোস গোস্বামী (২১)। তবে বাকিরা ব্যর্থতার ছায়ায় ঢাকা পড়ে যান। ফলে মায়ামি থেমে যায় লক্ষ্যচ্যুত এক ইনিংসে।
ফ্লোরিডার পক্ষে বল হাতে ইমরান খান ঝলক দেখিয়ে নেন ৩ উইকেট। রাকিম কর্নওয়াল ও মেহরান খান পান ২টি করে উইকেট। জনসন, থিসারা পেরেরা ও লাহিরু গ্যামেজের ঝুলিতে ওঠে একটি করে উইকেট। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ফ্লোরিডা লায়ন্স নির্ধারিত ১০ ওভারে তোলে ১০৭ রান। টিওন ওয়েবস্টার ২০ বলে করেন ২৯ রান, ম্যাথু হ্যানরি ঝড়ো গতিতে করেন ১২ বলে ২৭। মায়ামির হয়ে সাকিব ছাড়া উইকেট শিকার করেন জহোর খান, কেসরিক উইলিয়ামস ও অর্ণভ আইয়ার। দুই ম্যাচেই হার মেনে টুর্নামেন্টের প্রথম দিন শেষে হতাশায় ডুবেছে মায়ামি ব্লেজ। তবে সাকিবের পারফরম্যান্স অন্তত দেখিয়ে দিলো দল ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রাখে, যদি বাকিরাও তাকে সমর্থন জোগাতে পারেন মাঠে।