সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে বিসিবির নির্বাচন বয়কট করেন তামিম ইকবালসহ অনেকেই। তাদের বয়কটের মধ্য দিয়েই আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এবার এই নির্বাচনে সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকও। পল্টনে মঙ্গলবার জিয়া আন্তঃভলিবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী আয়োজনে তিনি এই অভিযোগ তুলেন।
বিসিবি নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আমিনুল বলেন, ‘আমার প্রধান উদ্বেগ হলো, সরকারি হস্তক্ষেপ এবং ক্রীড়া উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ। তার হস্তক্ষেপের প্রতিটি ঘটনার প্রমাণ রয়েছে। আমি শুনে অবাক হয়েছি যে, ক্রীড়া উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে কাউন্সিলরদের হুমকি দিয়েছেন, নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। অনেক কাউন্সিলর আমাকে ফোন করে বলেছেন যে, তাদের ডেকে নিয়ে এভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে।’
‘বিসিবি সবার, কারও ব্যক্তিগত নয়’ উল্লেখ করে আমিনুল বলেন, ‘ক্রীড়া উপদেষ্টার আচরণ অগ্রহণযোগ্য। বিসিবি সমগ্র বাংলাদেশের, এটি কোনও ব্যক্তির সম্পত্তি নয়। ক্রীড়া উপদেষ্টা কার্যত বিসিবিকে তার নিজস্ব ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। তিনি এমনকি বলেছেন যেকোনো মূল্যে তিনি বুলবুল ভাইকে সভাপতি করবেন। এই স্বেচ্ছাচারিতা এবং সরাসরি সরকারি হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের কোনও ক্রিকেটপ্রেমী মেনে নেবেন বলে আমি মনে করি না।’
২০০৩ সাফজয়ী এই গোলকিপার আরও বলেন, ‘পুরো নির্বাচনটি বিতর্কের মেঘে ঢাকা।
আমরা যারা খেলার সঙ্গে জড়িত, আমি মনে করি না যে এমন একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন মেনে নিতে পারি এবং ভবিষ্যতেও মানব না। জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য চিঠি পাঠানো থেকে শুরু করে পরবর্তী পদক্ষেপ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে হতাশা ও বঞ্চনার একটি পরিবেশ তৈরি করেছে।’