আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। অবশ্য প্রথম দুই ম্যাচেও বাংলাদেশ শেষে ব্যাটিং করে ম্যাচ জিতেছে। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। শেষ ম্যাচ জিতে বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিতে মাঠে নামে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং নিয়ে শুরুটা ভালোই করেছিল আফগান্তিান। দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুলবাজ আর ইব্রাহিম জাদরান মিলে প্রথম দুই ওভারেই দলটি করে ২০ রান। তবে তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশ তুলে নেয় প্রথম উইকেট। দলীয় ২০ রানে ওপেনার জাদরানকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট তুলে শরিফুল ইসলাম। দলীয় ২৪ রানে বাংলাদেশ তুলে নেয় দ্বিতীয় উইকেট। এবার নাসুম আহমেদ তুলে নেয় ১২ রান করা অপর ওপেনার রহমানউল্লাহ গুলবাজকে। দলীয় ৩৯ রানে আরো একটি উইকেট নেয় টাইগাররা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তান প্রথম ৬ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন। এর আগে ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে দু’ম্যাচ সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। এশিয়া কাপে হতাশার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। যদিও প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখা গিয়েছিল। তবুও দারুণ লড়াই করে যথাক্রমে ৪ ও ২ উইকেটে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। ফলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ইতোমধ্যেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে একাদশে ঢুকেছে তানজিদ হাসান তামিম। দ্বিতীয় ম্যাচে পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন ছন্দের বাইরে। ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। এর আগে ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে দু’ম্যাচ সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের একাদশ

তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান, জাকের আলী (অধিনায়ক), নুরুল হাসান, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

আফগানিস্তান একাদশ

রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, সাদেকুল্লাহ আটাল, দারউইশ রসুলি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, বশির আহমাদ, ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল ও আব্দুল্লাহ আহমাদ জাই।