জাতীয় ক্রিকেট লিগে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বরিশাল বিভাগ। গতকাল কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তারা। দলের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক তানভীর ইসলাম। ঢাকার দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৪ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তাঁর ঘূর্ণি বলে দিশাহারা ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৬৯ রানে।
ম্যাচ জিততে ১০২ রানের লক্ষ্য পায় বরিশাল। ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যটা পেরিয়ে যায় তানভীরের দল। ওপেনার ইফতিখার হোসেন ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রথম ইনিংসে ৭৮ রান করেছিলেন এই ম্যাচেই ১ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া ইফতিখার।
শেষ দিনটা ঢাকা শুরু করেছিল ৫ উইকেটে ১২৪ রান নিয়ে। গতকাল ২২.২ ওভারে খেলে ৪৫ রান যোগ করে দলটি। আগের দিন ২ উইকেট নেওয়া তানভীর নিয়েছেন শেষ ৫ উইকেট। ৪৬ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে অষ্টমবার ৫ উইকেট পাওয়া তানভীরের এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং। সেরা ৮/৫১, ২০২১ সালে বাংলাদেশ ইমার্জিংয়ের হয়ে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে। ৯ উইকেট নেয়া তানভীরই হয়েছেন ম্যাচসেরা। খুলনায় খুলনা-ময়মনসিংহ ম্যাচ অনুমিতভাবেই ড্র হয়েছে। গতকাল শেষ দিনে ময়মনসিংহ ৮ উইকেটে ৪৫৯ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ৭২ রানের লিড নেয় দলটি। খুলনা ৫ উইকেটে ১৪০ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল। ৭ উইকেটে ৩৮৭ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল ময়মনসিংহ। ৬২ রানে শুরু করা আল আমিন জুনিয়র পেয়ে গেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি।
তৃতীয় সেঞ্চুরিটি তিনি পেয়েছিলেন ২০১৮-১৯ মৌসুমে। অপরাজিত ১০২ রান করার পথে ৩ হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন এই সংস্করণে ৭০তম ম্যাচ খেলা আল আমিন। ১৪৯ রানের অষ্টম উইকেট জুটিতে আল আমিনের সঙ্গী আরিফ আহমেদ করেন ৮১ রান। ১৬ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে তাঁর এটিই প্রথম ফিফটি। প্রথম ইনিংসে ১৮৬ রান করা খুলনা ওপেনার সৌম্য সরকার দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৪৪ রান।