ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে অবসরের ব্যাপারে মুশফিকের উপর কোন চাপ ছিল না। তবে বুধবার রাতে হঠাৎ মুশফিক জানিয়ে দিলেন, ওয়ানডে ক্রিকেটে আর না। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেকেই বেছে নিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটেরর মিস্টার ডিপেন্ডেবল। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সাদা বলের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সঙস্করণ আন্তর্জাতিক টি- টোয়েন্টি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন এই ডানহাতি কিপার ব্যাটসম্যান। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কোন ম্যাচ না জিতে বিধ্বস্ত হয়ে ফিরেছে বাংলাদেশে। অন্যদিকে ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থ ছিলেন মুশফিক। ২ ম্যাচে করতে পেরেছিলেন কেবল ২ রান। এরপরই সমালোচিত হতে থাকেন ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। একই দিন সকালে ৩৫ বছর বয়সী স্টিভেন স্মিথেও ওয়ানডে জার্সি তুলে রাখেন। অজি এই তারকা ব্যাটসম্যানের অবসরের খবর চাউর হওয়ার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুশফিককে নিয়ে সমালোচনা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। সমালোচকদের আর সুযোগ না দিয়ে নিজেই ওয়ানডে থেকে সরে পড়লেন তিনি। ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। বিদায়বেলায় ওয়ানডে পরিসংখ্যান ও মাইলফলকের রঙিন পাতা গুলো ছিল ঝলমলে। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলা ক্রিকেটার মুশফিক। মিস্টার ডিপেন্ডেবল ২৭৪টি ওডিয়াই খেলেছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাকিব আল হাসান খেলেছেন ২৪৭টি ম্যাচ। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসলেও বাংলাদেশের জার্সিতে সাকিব তার শেষ ওডিয়াই খেলে ফেলেছেন। এখন জাতীয় দল থেকে অবসরে যাননি এবং ২০০ বেশি ওডিয়াই খেলা ক্রিকেটার আছেন কেবল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি খেলেছেন ২৩৯ ম্যাচ। ওডিআইতে উইকেটকিপার হিসেবে মুশফিকের ডিসমিসাল সংখ্যা ২৯৭টি, ২৪১টি ক্যাচের সাথে করেছেন ৫৬টি স্টাম্পিং। অন্যদিকে ১২৬টি ডিসমিসাল নিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে পরের নামটি খালেদ মাসুদ পাইলটের। ওডিআই ইতিহাসে ডিসমিসাল সংখ্যায় মুশফিক আছেন পাঁচ নম্বরে।
ক্রিকেট
পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের পাতায় মুশফিকুর রহিম
ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে অবসরের ব্যাপারে মুশফিকের উপর কোন চাপ ছিল না। তবে বুধবার রাতে হঠাৎ মুশফিক জানিয়ে দিলেন, ওয়ানডে ক্রিকেটে আর না। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেকেই বেছে নিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটেরর মিস্টার ডিপেন্ডেবল।