জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়েছে ঢাকা মহানগর ও ঢাকা বিভাগ। মহানগরের আইচ মোল্লা স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি অভিষেকে পেয়েছেন ফিফটি। দুই ম্যাচ হারার পর আবার জয় পেয়েছে ঢাকা মহানগর। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিলেট বিভাগকে ২৩ হারিয়ে দ্বিতীয় জয় পেল মহানগর। ম্যাচে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়েছে সাদমান ইসলাম ও আইচ মোল্লার ৯৬ রানের জুটি। প্রথমে ব্যাট করে মহানগর করে ৩ উইকেটে ১৬১ রান। মাহফিজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাঈমের উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ রান এলেও ৪৫ বলই খেলতে হয় তাঁদের। ১০ম ওভারের চতুর্থ বলে অধিনায়ক নাঈম যখন ফিরলেন তখনো মহানগরের ওভারপ্রতি রান ৬। ৩২ বলে ৩৬ রান করে নাঈম যখন বিদায় নিলেন, মহানগরের স্কোর ৫৮/২। সেখান থেকে ৬০ বলে ৯৬ রানের জুটি গড়েন সাদমান ও আইচ। সাদমান ৩২ বলে ৪৯ রান করে আউট হয়ে যান। সাদমান ফিফটি না পেলেও ইনিংসের শেষ বলে ইবাদত হোসেনকে ছক্কা মেরে ফিফটি পেয়ে যান স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচ খেলা আইচ। ৩৩ বলে ৫৩ রান করা পথে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক এই ব্যাটসম্যান। রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা সিলেট শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে করতে পারে ১৩৮ রান। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছেন খালিদ হাসান ও অমিত হাসান। মহানগরের পেসার শহীদুল ইসলাম ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরা হওয়া আইচও পেয়েছেন ১ উইকেট।
একই ভেন্যুতে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৫০ রান করে ঢাকা বিভাগ। রান তাড়ায় রাজশাহী থামে ৯ উইকেটে ১২২ রান তুলে। চতুর্থ ম্যাচে তৃতীয় জয় পেল ঢাকা বিভাগ। ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত তারাই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।
আশিকুর রহমান ও রায়ান রাফসানের উদ্বোধনী জুটি ঢাকাকে ৩৫ বলে এনে দেয় ৫০ রান। ১৮ বলে ২২ রান করেছেন আশিকুর। রায়ান ৩০ বলে করেন ৩২ রান। এ দুজনের বিদায়ের পর অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম ছাড়া আর কেউ ২০ রানও পাননি। ৪ ছক্কায় ২০ বলে ৩৫ রান করেছেন মাহিদুল। এ ছাড়া শেষ দিকে ৫ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন ১৪ রান। রান তাড়ায় রাজশাহীর হয়ে ২৯ বলে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেছেন এস এম মেহেরব। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ৮ বলে করেছেন মাত্র ৬ রান। ঢাকা বিভাগের বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট।