ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে প্রথম দুই ওয়ানডে ম্যাচে বেশ ভুগেছেন ব্যাটাররা। ম্যাচে হয়নি বড় স্কোর। তবে শেষ ওয়ানডেতে মিরপুরের 'কালো' উইকেটেও রীতিমতো ঝড় তোলেন বাংলাদেশি দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান। ইনিংসের ১৬তম ওভারেই শতরান পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। তাও আবার কোনো উইকেট না হারিয়ে। লম্বা সময় পর উদ্বোধনী জুটিতে শতরান এসেছে বাংলাদেশের। সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চে ওয়ানডেতে ওপেনিং জুটি থেকে শতরান পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। সিলেটে সেই ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১০২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ২৬তম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রোস্টন চেজকে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে জাস্টিন গ্রিভসের ক্যাচ হয়েছেন সাইফ হাসান। ৭২ বলে ৬ ছক্কায় ৮০ রান করে সাইফ ফিরলে ভাঙে ১৭৬ রানের প্রথম উইকেট জুটি। এই ১৭৬ রানের জুটি ওয়ানডেতে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লিটন-তামিমের ২৯২ রান উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ। আর সব দল মিলিয়ে ২০১৫ সালে ১১ নভেম্বরের পর মিরপুরে ওয়ানডেতে এটাই সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি।
২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন বাংলাদেশের তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। গতকাল জোড়া সেঞ্চুরির সূবর্ণ সুযোগ ছিল দুই ওপেনারের। কিন্তু দুজনই হাতছাড়া করেছেন। তবে মিরপুরের ২২ গজ মাতিয়ে অনেক অর্জনে করেছেন দুজনই।
সেই সবে চোখ বুলানো যাকÑ
এক : এই বছর এবারই প্রথম ৫০ রানের বেশি ওপেনিং জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ।
দুই : ইনিংসের ১৬তম ওভারে বাংলাদেশের রান একশ পেরিয়ে যায়। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪৫ ইনিংস পর উদ্বোধনী জুটিতে শতরানের দেখা পায় বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম ও লিটন ১০২ রান করেছিলেন।
তিন : ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটি। এর আগে ২০১৯ সালে ডাবলিনে তামিম ও সৌম্য ১৪৪ রান করেছিলেন।
চার : সৌম্য ও সাইফের ১৭৬ রান উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ২৯২, ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিল বাংলাদেশ।
পাঁচ : ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর মিরপুরে ওয়ানডেতে ১৪৭ রান করেছিলেন তামিম ও ইমরুল। ১০ বছরের মধ্েয সৌম্য ও সাইফের জুটি মিরপুর স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ।
ছয় : মিরপুরে যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। ২০১৫ সালে মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে ১৭৮ রান করেছিলেন।