শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও হারল বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলংকার কাছে ৯৯ রানে হারে টাইগাররা। সরিজের প্রথম ওয়ানডে শ্রীলংকা ৭৭ রানে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশ ১৬ রানে জিতে সিরিজ সমতায় এনেছিল। কিন্তু শেষ ওয়ানডে হেরে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারল টাইগাররা। এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলংকার মাটিতে এই নিয়ে পঞ্চম ওয়ানডে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান করে শ্রীলংকা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। যার ফলে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাঁড় করাতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করার চেষ্টা করেছিলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। কিন্তু আসিথা ফার্নান্দোর বলেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর দ্রুত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শান্তকে ফিরিয়ে দেন দুশমন্থ চামিরা, আর পাওয়ার প্লে’র মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন ইমন। চাপ সামলাতে চেষ্টা করেন তাওহীদ হৃদয়, যিনি তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। কিন্তু একের পর এক ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মধ্যে দাঁড়িয়ে একা লড়াই চালিয়ে যান তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসেনরা ব্যর্থ হওয়ায় চাপ আরও বাড়ে। শেষ পর্যন্ত ৩৯.৪ ওভারে ১৮৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বড় রান তাড়ার রেকর্ড গড়ার সুযোগ ছিল টাইগারদের সামনে। উইকেটও ছিল ব্যাটিং সহায়ক। তবে সামগ্রিক ব্যাটিং ব্যর্থতায় দুইশ রানের গ-িও পার করতে পারেনি সফরকারীরা। এই জয়ে নিজেদের ঘরের মাঠে টানা অষ্টম ওয়ানডে সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়লো শ্রীলংকা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শ্রীলঙ্কা: ২৮৫/৭ (৫০ ওভার) (নিশাঙ্কা ৩৫, মাদুশকা ১, মেন্ডিস ১২৪, কামিন্দু ১৬, আসালাঙ্কা ৫৮; মিরাজ ২/৪৮, তাসকিন ২/৫১)

বাংলাদেশ: ১৮৬/১০ (৩৯.৪ ওভার) (ইমন ২৮, তানজিদ ১৭, মিরাজ ২৮, হৃদয় ৫১, শামীম ১২, জাকের ২৭; আসিথা ৩/৩৩, চামিরা ৩/৫১)