ক্রিকেট
তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের দাপুটে জয়
প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল। তার সেঞ্চুরিতে দাপুটে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব। গতকাল মোহামেডান ৭ উইকেটে হারিয়েছে পারটেক্স স্পোটিং ক্লাবকে। গতকাল বিকেএসপি ৪ নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করে ৪৬.৩ ওভারে ২১৮ রান করে গুটিয়ে যায় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব।
Printed Edition

প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল। তার সেঞ্চুরিতে দাপুটে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব। গতকাল মোহামেডান ৭ উইকেটে হারিয়েছে পারটেক্স স্পোটিং ক্লাবকে। গতকাল বিকেএসপি ৪ নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করে ৪৬.৩ ওভারে ২১৮ রান করে গুটিয়ে যায় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। জবাবে তামিমের ব্যাট থেকে আসা ১২৫ রানের (১১২ বলে) হার না মানা ইনিংসের ওপর ভর করে ৭ উইকেটের সহজ জয় পায় মোহামেডান। ৫টি বিশাল ছক্কা ও ১১ বাউন্ডারিতে ইনিংস সাজান তামিম। এবারের ক্রিকেট লিগে শুরুটা ভালো হয়নি মোহামেডানের। প্রথম ম্যাচে নবীন দল গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু হয়েছিল মোহামেডানের। প্রথম ম্যাচে হারের পর ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি একেবারেই বদলে যায়। দ্বিতীয় রাউন্ডে রূপগঞ্জ ক্রিকেট ক্লাবরে বিপক্ষে জয়ের পর গতকাল পারটেক্স স্পোটিং ক্লাবকেও উড়িয়ে দিয়েছে তারা। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাটিং নেয় পারটেক্স। তরুণ ব্যাটার আহরার আমিন পায়েলের ৭৮ রানে ভর করে পারটেক্স ২১৮ রানের স্কোর গড়ে। জবাবে শুরুতেই ওপেনার রনি তালুকদারকে হারায় মোহামেডান। তিন নম্বরে নেমে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হয়েছেন। তবে তৃতীয় উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে তামিম ৬৫ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামলেছেন। তাওহীদ ৪৩ বলে ৩৭ রান করে আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ১২২ রানের জুটি গড়ে জয় তুলে নেন তামিম। তার আগে লিস্ট-এ ক্রিকেটে নিজের ২৩তম সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ১১২ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় তামিম ১২৫ রানের ইনিংসটি সাজান। মুশফিক ৪৪ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। মোহামেডান ৪০.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে। পারটেক্সের বোলারদের মধ্যে জাওয়াদ রোহান, মোহর শেখ ও এনামুল হক জুনিয়র প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একেবারে খারাপ হয়নি পারটেক্সের। দুই ওপেনার মিলে ৫৩ রান যোগ করেছেন। রুবেল মিয়া ২৬ বলে ২৪ রান করে আউট হলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। আরেক ওপেনারও বেশিদূর এগুতে পারেননি। ৫৬ বলে ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন জয়রাজ শেখ। ৯০ রান ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে আহরার আমিন পায়েন ও জায়দা রোহান মিলে ৮২ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি ভাঙলে ধস নামে পারটেক্সের ব্যাটিং অর্ডারে। জাওয়াদের ৪২ ও আহরারের ৭৮ রানের ইনিংসে ভর করে পারটেক্স ৪৬.৩ ওভারে ২১৮ রানের স্কোর গড়ে। মূলত মোহামেডানের দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ পারটেক্সের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙেছেন। তাইজুল চারটি ও নাসুম তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া সাইফউদ্দিন দুটি এবং আবু হায়দার রনি নেন একটি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পারটেক্স স্পোর্টস ক্লাব: ৪৬.৩ ওভারে ২১৮ (জয়রাজ শেখ ৩৮, রুবেল মিয়া ২৪, আদিল ১৭, আহরার আমিন ৭৮, জাওয়াদ রোয়েন ৪২; তাইজুল ৪/৫০, নাসুম আহমেদ ৩/৪২, সাইফউদ্দীন ২/৩২, আবু হায়দার রনি ১/৪৩)।
মোহামেডান : ৪০.২ ওভারে ২২২/৩ (রনি তালুকদার ৯, তামিম ইকবাল ১২৫*, মাহিদুল ইসলাম অংকন ৬, তাওহিদ হৃদয় ৩৬, মুশফিকুর রহিম ৩৫*; জাওয়াদ ১/২৫, মোহর শেখ ১/১৪, নাইম ইসলাম জুনিয়র ১/২৮)।
ফল: মোহামেডান ৭ উইকেটে জয়ী।