DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

ক্রিকেট

তাওহীদ হৃদয়ের উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন রমিজ রাজা

ভারতের কাছে ম্যাচটা ছয় উইকেটে হেরে গেলেও বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে ব্যাট করা তাওহীদ হৃদয়ের ১১৮ বলে ১০০ রানের লড়াকু ইনিংস মন জয় করে নিয়েছে সবার। হৃদয়ের উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন রমিজ রাজাও।

Printed Edition
sdfgds

স্পোর্টস রিপোর্টার: ভারতের কাছে ম্যাচটা ছয় উইকেটে হেরে গেলেও বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে ব্যাট করা তাওহীদ হৃদয়ের ১১৮ বলে ১০০ রানের লড়াকু ইনিংস মন জয় করে নিয়েছে সবার। হৃদয়ের উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন রমিজ রাজাও। ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও দলকে জেতাতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করেছেন হৃদয়। শেষদিকে পায়ে ক্রাম্প (মাংসপেশিতে টান) নিয়ে তাকে ব্যাট করতে হয়েছে। হৃদয়কে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ৬৮ রানের ইনিংস খেলা জাকের আলী। গতকাল রাতে ম্যাচ শেষে নিজের ইউটিউব চ্যানেল পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার রমিজ রাজা বলেছেন, হৃদয় বাংলাদেশের জন্য অমূল্য এক সম্পদ। রমিজের ভাষায়, ‘বাংলাদেশ যে অবস্থায় ছিল, মনে হচ্ছিল এক শ রানও হয়তো করতে পারবে না। কিন্তু সেখান থেকে ইনিংসকে টেনে নেওয়াটা... (অসাধারণ)। জাকেরের পারফরম্যান্সও ছিল দুর্দান্ত। দারুণ একটি জুটি গড়েছে তারা। তবে ভারতের মতো শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে এমন পরিস্থিতিতে দলকে উদ্ধার করা এবং তারপর সেঞ্চুরি করা অনেক দুর্দান্ত ব্যাপার। হৃদয় অনেক নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। সে যদি নিজেকে সময় দেয় তবে ধারাবাহিকভাবে এমন বড় ইনিংস খেলতে পারবে। হৃদয়ের মাঝে দারুণ সম্ভাবনা আছে।’ রমিজ আরও বলেছেন, ‘হৃদয় বড় শট খেলতে পারে, আগ্রাসী মনোভাব আছে এবং রানিং বিটুইন দ্য উইকেটও ভালো। পাশাপাশি প্রাণশক্তিও প্রচুর। মিডলঅর্ডারে বাংলাদেশ অমূল্য এক সম্পদ পেয়েছে। যেদিন সে খেলে, এমনই দুর্দান্ত খেলতে পারে। ভারতেরমত এত বড় একটি দলের বিপক্ষে যে পরিস্থিতিতে সেঞ্চুরি করেছে হৃদয় সেটা অনেক বড় ব্যাপার। ফলে নির্ভরযোগ্যতা, সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো এবং মানের দিক থেকে সবগুলো কাজই সে ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করেছে।’ জাকের-হৃদয়ের থেকে পাকিস্তানি ব্যাটারদের শিক্ষাও নিতে বলেছেন রমিজ, ‘জাকের এবং তাওহিদের (হৃদয়) জুটি থেকে পাকিস্তান চাইলে অনেক কিছু শিখতে পারে। ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতির সঙ্গে তারা যেভাবে মানিয়ে নিয়েছে এবং ইনিংসকে টেনে নিয়েছে সেটা অনেক বড় দৃষ্টান্ত। পাকিস্তানের কথা আমি এ জন্য বলছি পাকিস্তান এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবে। ভারতের সঙ্গেও ম্যাচ আছে। ফলে নিজেদের ভুল থেকে শেখাটা খুবই জরুরি। এখান থেকে এই দৃষ্টান্তটা পাওয়া যে, কখনো হার মানা যাবে না। যে কোনো পরিস্থিতি থেকে আপনি চাইলে বেরিয়ে আসতে পারেন, যদি আপনার মধ্যে সাহস, তাড়না, পরিকল্পনা এবং উপায় জানা থাকে। এই জুটিতে আমরা এগুলো সবই দেখেছি।’