আগামী ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘোষণা দিয়েছে। ফলে ফের টেস্ট দলের নেতৃত্ব ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্তু। ২০২৩ সালে টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৪টি টেস্টে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ২০২৫-২০২৭ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ টেস্ট দলের আবারও অধিনায়ক থাকবেন শান্ত। শান্তর সঙ্গে আলোচনা না করেই ওয়ানডে তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি শান্ত। যার ফলে, গত জুন মাসে টেস্ট নেতৃত্বও ছেড়ে দেন তিনি। গত জুনে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সফরের দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হওয়া মাত্রই এই ফরম্যাট থেকে নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন শান্ত। তড়িঘড়ি নতুন টেস্ট অধিনায়ক বেছে নেয়ারও অবশ্য কোনো তাড়াহুড়া ছিল না বিসিবির কাছে। কারণ পরের সাড়ে চার মাসে টেস্ট খেলার কোনো সূচি ছিল না। তবে এই নভেম্বরে আয়ারল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে অধিনায়ক বাছাই করতেই হতো বিসিবিকে। অনেক ভেবেচিন্তে তারা শান্তকেই অধিনায়ক হিসেবে যোগ্য মনে করেছেন। আলাপ-আলোচনার পর নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছেন শান্ত। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বোর্ড শান্তর নেতৃত্বে আস্থা রাখছে এবং তার নেতৃত্বে লাল বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘শান্ত নেতৃত্বে যে ধৈর্য, নিষ্ঠা ও টেস্ট ক্রিকেটের গভীর বোঝাপড়া দেখিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। তার অধীনে দল ক্রমাগত উন্নতি করছে। নেতৃত্বে ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে এই চক্রে দল আরও পরিণত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’ অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব অব্যাহত রাখার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে অব্যাহত থাকতে পারা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয়। বোর্ড আমার প্রতি যে বিশ্বাস ও আস্থা দেখিয়েছে, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এই দায়িত্বের মর্যাদা রাখতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘এ দলটিতে অনেক মেধাবী ও সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার রয়েছে। সামনে ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি মৌসুম আসছে, যা আমাদের জন্য দারুণ সুযোগ। এই মাসের শেষ দিকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আমরা নতুন টেস্ট চক্রের যাত্রা শুরু করতে মুখিয়ে আছি।’