সবকিছু ঠিক থাকলে ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। আসন্ন বিসিবি নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তপ্ত হচ্ছে ক্রিকেট পাড়া। নির্বাচনে জেলা ও বিভাগের এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি। সোমবার সেই চিঠির কার্যকারিতার ওপর ১৫ দিনের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্টের সেই আদেশ মপলমফ ফষপন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
সম্প্রতি জেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পাঠানো কাউন্সিলরদের তালিকা বাতিল করে এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে চিঠি দেন বোর্ডের বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। জেলা ও বিভাগের এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে বিসিবি সভাপতির পাঠানো চিঠিকে অবৈধ ঘোষণা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন টাঙ্গাইলের তপন, লক্ষীপুরের কামরুল, গোপালগঞ্জের খসরু, ও রাজবাড়ীর দুলাল।
এই রিটের প্রেক্ষিতে সোমবারই শুনানি আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেখানে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। তবে আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচনে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে একই হাইকোর্টের সেই আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
বিসিবি নির্বাচনের জন্য মনোনীত কাউন্সিলরদের তালিকা প্রকাশের কথা ছিল গত ১৭ সেপ্টেম্বর। তবে বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল নিজেই সেটাকে দুই দফা পিছিয়ে ২২ তারিখে নিয়ে যান।
বিসিবির বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন ঘোষণার পর বিসিবি সভাপতি চিঠি পাঠিয়ে এমন নির্দেশ দেয়ার এখতিয়ার রাখেন না। আর বিদ্যমান নিয়মে নতুন করে কাউন্সিলর পাঠানোর সুযোগও নেই। যেহেতু বিসিবি সভাপতি নিজেও নির্বাচনে লড়ছেন, তাই তার এমন কার্যক্রম নির্বাচনকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মনে করছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা।