জড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন পারভেজ হোসেন। গতকাল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দিনে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে তাণ্ডব চালান ২২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পথে মাত্র ১৫ বলে ফিফটি করেন পারভেজ। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বটেই, স্বীকৃত ক্রিকেটেই এটি বাংলাদেশের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। বিকেএসপিতে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ২৩ বলে ৬১ রান করেন তিনি। অফ স্টাম্পের ফুল লেংথ ডেলিভারি মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারলেন পারভেজ হোসেন। কিছুটা বেকায়দায় ব্যাট থেকে এক হাত ছুটে গেল তার। তবে বল চলে গেল সীমানার ওপারে। ওই ছক্কায় পঞ্চাশ পূর্ণ হলো বাঁহাতি ওপেনারের। তার নাম উঠে গেল রেকর্ড বইয়ে। শাইনপুকুরকে ৮৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে আবাহনী লিমিটেড ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় স্রেফ ৬.৪ ওভারেই। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে রেকর্ডটি এতদিন ছিল যৌথভাবে ফরহাদ রেজা ও হাবিবুর রহমানের। ২০১৯ সালের প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ১৮ বলে ফিফটি করেন ফরহাদ। চার বছর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের লিস্ট 'এ' সংস্করণে হাবিবুরও করেন ১৮ বলে ফিফটি। সেদিন ৬১ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলার পথে মাত্র ৪৯ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তরুণ ওপেনার। যা এখনও এই সংস্করণে দেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। এছাড়া দেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ২০ বলের কমে ফিফটি আছে দুটি। ২০০৬-০৭ মৌসুমের লিগে নাজমুল হোসেন ও ২০১৩-১৪ মৌসুমের লিগে জ্যাকব ওরাম ১৯ বলে স্পর্শ করেছিলেন পঞ্চাশ। সব সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড আগে ছিল শুভাগত হোমের। ২০১৯ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে শাইনপুকুরের হয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে ১৬ বলে ফিফটি করেছিলেন তিনি। এবার রেকর্ড গড়ার ম্যাচে প্রথম চার বলে ১ রান করেন পারভেজ। দ্বিতীয় ওভারে অনিয়মিত অফ স্পিনার রহমতউল্লাহ আলি আক্রমণে আসতেই ঝড় তোলেন তিনি। দ্বিতীয় বলে অল্পের জন্য হয়নি ছক্কা। তবে পরের টানা চার বল ঠিকই সীমানার ওপারে আছড়ে ফেলেন আবাহনী ওপেনার। এক ওভার পর আলি মোহাম্মদের বলে দুটি বাউন্ডারির পর দুটি ছক্কা মারেন পারভেজ।

ওই ওভারের দ্বিতীয় ছক্কায় পঞ্চাশ পূর্ণ হয় তার। এরপর আর ইনিংস বড় করার সুযোগ তেমন ছিল না তার। লক্ষ্যই যে ছিল কেবল ৮৯ রান! ছোট লক্ষ্যে পারভেজের টর্নেডো ব্যাটিংয়ে ৪০ বলে ম্যাচ জিতে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আরেক ওপেনার জিসান আলম ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। দিনের শুরুতে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে সোয়া তিন ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা। ৩১ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে একদমই সুবিধা করতে পারেনি শাইনপুকুর। ছয় নম্বরে নেমে দলের সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন মিনহাজুল আবেদিন। দলের অন্য কোনো ব্যাটসম্যান ১৫ ছুঁতে পারেননি। এই জয়ে ৯ খেলায় আট ম্যাচ জিতে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে তালিকায় এককভাবে সবার ওপরেই থাকলো আবাহনী।