এক ম্যাচ বাকী থাকতেই এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত ৪১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশকে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। ফলে সুপার ফোরে ২ ম্যাচ খেলে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। বাংলাদেশের হারে এশিয়া কাপের সুপার ফোর থেকে বিদায় ঘন্টা বাজল শ্রীলংকার। ২ ম্যাচ খেলে ২টিতেই হেরেছে লংকানরা। ফলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের জয়ী দল ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হবে। ২টি করে ম্যাচ খেলে ২ পয়েন্ট আছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। দুবাইয়ে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ভারতকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। পাওয়ার প্লেতে ৭২ রান তুলেন দু’জনে। সপ্তম ওভারে প্রথম আক্রমণে এসেই বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার রিশাদ হোসেন। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৯ বলে ২৯ রান করা গিলকে শিকার করেন রিশাদ। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮ বলে ৭৭ রান যোগ করেন গিল ও অভিষেক। ইনিংসের অষ্টম ওভারে টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২৫ বল খেলা অভিষেক। নিজেদের দ্বিতীয় ওভারেও উইকেটের দেখা পান রিশাদ। তিন নম্বরে নামা শিবম দুবেকে ২ রানে থামান তিনি। দলের রান ১শ পার করে সাজঘরে ফিরেন অভিষেক। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন তিনি। ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৭৫ রান করেন অভিষেক। দলীয় ১১২ রানে অভিষেক ফেরার পর দ্রুত দুই ব্যাটারকে হারায় ভারত। সূর্যকে ৫ রানে মুস্তাফিজ এবং তিলক ভার্মাকে ৫ রানে আউট করেন তানজিম হাসান সাকিব। এতে ভারতের রান তোলার গতিও কমে যায়। ১৫তম ওভারে ১২৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ভারত। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ৩৪ বলে ৩৯ রানের জুটিতে ভারতকে লড়াকু পুুঁজি এনে দেন হার্ডিক পান্ডিয়া ও অক্ষর প্যাটেল। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করে ভারত। বাংলাদেশের রিশাদ ২টি, তানজিম-মুস্তাফিজ ও সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন। এই ম্যাচে ১ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি ১৫০তম শিকার পূর্ণ করেন মুস্তাফিজ। এতে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন ফিজ। জবাবে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১ রানে বিদায় নেন ওপেনার তানজিদ হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে ৩০ বলে ৪২ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন। ১৯ বলে ২১ রান করা ইমনকে থামিয়ে জুটি ভাঙেন ভারতের স্পিনার কুলদীপ যাদব। দলীয় ৪৬ রানে ইমন ফেরার পর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সাইফ। সাবধানে খেলে ২০ বলে ১৯ রান যোগ করার পর বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৭ রান করে স্পিনার প্যাটেলের শিকার হন হৃদয়। দলীয় ৬৫ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে হৃদয় ফেরার পর নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মাঝেও এক প্রান্ত আগলে ভারতের বোলারদের সামনে লড়াই করেছেন সাইফ। ছক্কা মেরে ৩৬ বলে টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন সাইফ। ১৮তম ওভারে দলীয় ১১৬ রানে নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হন সাইফ। পাঁচবার জীবন পেয়ে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫১ বলে ৬৯ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৯.৩ ওভারে ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। সাইফ ও ইমন ছাড়া বাংলাদেশের আর কোন ব্যাটারই দুই অংকে পা রাখতে পারেনি। ভারতের কুলদীপ ৩টি, বুমরাহ ও বরুন চক্রবর্তী ২টি করে উইকেট নেন।
ক্রিকেট
বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত
এক ম্যাচ বাকী থাকতেই এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত ৪১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশকে।