শঙ্কা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন তামিম ইকবাল। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা তামিম এই মুহূর্তে অনেকটাই সুস্থ। হালকা হাঁটাচলা করতে পারছেন। পরিবারের সঙ্গেও টুকটাক কথা বলতে পারছেন। যদিও তাকে এখনও মুভ করা রিস্কি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে বিপদমুক্ত হয়েছেন তিনি। কিছুটা ভালো অনুভব করার পরই ফেসবুকে ভক্তদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা পোস্ট করেছেন দেশসেরা এই ওপেনার। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসে তিনি এবার প্রার্থনারত মানুষদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন। নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে মানুষের ভালোবাসা, পরস্পর পাশে দাঁড়ানোর এই নজির ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তামিম। সাবেক এই বাংলাদেশ অধিনায়ক যখন জীবন সন্ধিক্ষণে, সেই সময় তার অতীতে করা মানুষের জন্য কিছু সহায়তার ঘটনা সামনে আসে। তেমনই একটি ঘটনা উল্লেখ করে তামিম লিখেছেন, ‘দুই বছর আগে এই রোজার সময়েই অনুপের কাছে গিয়েছিলাম। সেদিন জানতে পারলাম, অনুপের বাবা ৪ বছরেও হার্টের অপারেশন করতে পারেননি।’ তিনি আরও লিখেন, ‘হৃদয়ের স্পন্দনই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু এই স্পন্দন যে কোনো ঘোষণা না দিয়েই থেমে যেতে পারেÑ এই কথাটি আমরা বারবার ভুলে যাই। গতকাল দিনটি শুরু করার সময় কি আমি জানতাম, আমার সাথে কী হতে যাচ্ছে?’ মানুষের ভালোবাসার কথা স্মরণ করে তামিম বলেন, ‘আল্লাহ তা’আলার অশেষ রহমত আর সকলের দোয়ায় আমি ফিরে এসেছি। আমার সৌভাগ্য, এই বিপদের সময়ে আমি পাশে কিছু অসাধারণ মানুষকে পেয়েছিলাম, যাদের বিচক্ষণতা ও আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আমি এই সংকট কাটিয়ে ফিরে এসেছি।’ এভাবে যে কারও বিপদে পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার, ‘কিছু ঘটনা আমাদের বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়, জানিয়ে দেয় যে জীবন আসলে কতটা ছোট। আর এই ছোট জীবনে আর কিছু করতে না পারি, সবাই যেন একে অপরের বিপদে পাশে দাঁড়ায়Ñ এটিই আমার অনুরোধ। আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। সবাই আমার জন্য এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।

আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি তামিম ইকবাল কিছুই না।’ প্রসঙ্গত, সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ খেলতে নেমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। বুকে ব্যথা নিয়ে সাভারের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে যান। পরে জানা যায়, দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তামিমের। হার্টে ব্লক ধরা পড়ার পর রিংও পরানো হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে তার অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে আগামী তিন মাস তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।