ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসরের আগে মেগা নিলামে নাম দিয়েও অবিক্রিত ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিলামে বাংলাদেশী এই পেসারের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে এবার আসরের মাঝপথে দল পেলেন মুস্তাফিজ। ৬ কোটি ভারতীয় রুপিতে মুস্তাফিজকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। সাময়িক বিকল্প হিসেবে মুস্তাফিজের সঙ্গে চুক্তি করেছে দিল্লি। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, পরের আসরের জন্য তাকে ধরে রাখতে পারবে না এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। অর্থাৎ, শুধুমাত্র চলমান আসরের বাকি অংশে মুস্তাফিজকে খেলাতে পারবে দিল্লি। মূলত জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের বদলি হিসেবে মুস্তাফিজকে দলে নিয়েছে দিল্লি।
এই অজি ওপেনার আইপিএলের বাকি অংশ খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। নিরাপত্তা শঙ্কায় আর ভারতে ফিরছেন না তিনি। আইপিএলের একাধিক দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে মুস্তাফিজের। এখন পর্যন্ত সাতটি মৌসুমে খেলেছেন। সর্বশেষ আসরে ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট শিকার করেছিলেন এই বাঁহাতি পেসার।
এর আগে ২০১৬ অভিষেক আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা ছিল মুস্তাফিজের। মাত্র ৬.৯০ ইকোনমি রেটে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট। পেয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি, যা আইপিএল ইতিহাসে একমাত্র বিদেশী ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার জয়ের কীর্তি। ১৭ মে থেকে শুরু হচ্ছে স্থগিত হওয়া আইপিএলের বাকি অংশ।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেকার সামরিক সংঘাতের পর গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার স্থগিত করা হয়েছিল আইপিএলের খেলা। নিরাপত্তা অজুহাতে এক সপ্তাহের বেশি বন্ধ থাকার পর ফের মাঠে গড়াচ্ছে এবারের আইপিএল। এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ মৌসুমে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছেন। ২০২২ সালে তিনি ৮টি ম্যাচে ৮টি উইকেট নেন, তার ইকোনমি রেট ছিল ৭.৬২। ২০২৩ সালে তিনি দিল্লির হয়ে ২টি ম্যাচ খেলেন। আইপিএল ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৩৮টি ম্যাচে অংশ নিয়ে তিনি ৩৮টি উইকেট নিয়েছেন, তার ইকোনমি রেট ৭.৮৪।
আইপিএলে তিনি একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন এবং ইনিংসের বিভিন্ন পর্যায়ে দক্ষতার সঙ্গে বোলিং করার জন্য পরিচিতি অর্জন করেছেন। সবশেষ আসরে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছিলেন তিনি।বাংলাদেশের হয়ে ১০৬টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে তিনি ১৩২টি উইকেট নিয়েছেন, যা তাকে সাদা বলের ক্রিকেটে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বাঁহাতি পেসার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। দেশের ঘরোয়া ও বৈশ্বিক বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগ মিলিয়ে তিনি ২৮১টি ম্যাচে ৩৫১টি উইকেট নিয়েছেন।