তামিম ইকবাল ও আমিনুল ইসলাম বুলবুল দুজনেই আসন্ন বিসিবি নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়বেন, এমন ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই ক্রিকেটাঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। কে কোন দলের প্রার্থী তা নিয়েও রয়েছে গুঞ্জন। যেখানে কয়েক দিন আগে বিসিবির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সাবেক এমপি আলী আসগার লবি ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল তাদের দলের পক্ষ থেকে বিসিবি সভাপতি হিসেবে প্রার্থী হবেন। এরপরই প্রশ্ন উঠে তাহলে আমিনুল ইসলাম বুলবুল কি সরকারের প্রার্থী?

সোমবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ক্রীড়া বিভাগের প্রধানদের এক মতবিনিময় সভায় উঠে আসে বিসিবি নির্বাচন প্রসঙ্গ। সেখানেই উপদেষ্টা পরিষ্কার জানিয়ে দেন সরকার কোনো পক্ষে নেই। ‘দুজনের নাম শোনা যাচ্ছে তারা সবাই ক্রিকেটার, এটি একটি ভালো দিক। সরকার চায় নিয়ম মেনে বিসিবি নির্বাচন হোক। এখানে সরকার কোনো পক্ষে নেই। আগে তো একজনকে নিয়েই নির্বাচন হতো, এখন তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।’

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বিসিবির নির্বাচন। গত মঙ্গলবার বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছেন। এরই মাঝে আবার হুমকি পাওয়ার অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে তামিম ইকবাল, ফারুক আহমেদদের অংশগ্রহণে রোমাঞ্চকর নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে বুলবুল জানিয়েছেন, ওয়ানডে ইনিংস খেলতে চান তিনি। মূলত যেসব কাজ শুরু করেছেন সেগুলো ভালোভাবেই এগিয়ে চলেছে। তাই সেই ধারা অব্যাহত রাখতেই নির্বাচন করার কথা ভেবেছেন বুলবুল। এ ছাড়া তামিম ইকবালও নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে ক্রিকেটাঙ্গনে।

উল্লেখ্য বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন ক্যাটাগরিতে বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হবেন। ২৫ সদস্যের বোর্ডে ঢাকাভিত্তিক ক্লাব (ক্যাটাগরি-১) থেকে ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে নির্বাচিত হন ১২ জন পরিচালক। ক্যাটাগরি-২ থেকে (আঞ্চলিক ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি) ৮ বিভাগ ও ৬৪ জেলার কাউন্সিলররা ভোট দিয়ে ১০ জন পরিচালক নির্বাচন করেন। ক্যাটাগরি-৩ এ একজন পরিচালক নির্বাচিত হন ‘অন্যান্য প্রতিনিধি’ কোটায়। এ ছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত করেন ২ পরিচালক। এরপর নির্বাচিত পরিচালকরা ভোট দিয়ে সভাপতি নির্বাচন করেন।