বিশ্বরেকর্ড করেই ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার ম্যাথু ব্রিটজকের। অভিষেক ম্যাচেই তিনি ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫০ রানের ইনিংস খেলেন। পরবর্তী তিন ম্যাচেও পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস এসেছে ব্রিটজকের ব্যাটে। ওয়ানডের ইতিহাসে তিনিই প্রথম কোনো ব্যাটার, যিনি অভিষেকের পর চার ম্যাচেই পঞ্চাশোর্ধ রান করলেন। সবমিলিয়ে ৪ ম্যাচে ৯৪.৫০ গড়ে করলেন ৩৭৮ রান। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ব্রিটজকের। তবে ওয়ানডেতে অভিষেকের জন্য তাকে আরও প্রায় দেড় বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। মাঝে টেস্ট ক্যারিয়ারও শুরু করেন ২৬ বছর বয়সী এই প্রোটিয়া ব্যাটার। তবে সবশেষ যে ফরম্যাটে পা রাখলেন, সেই ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছে ব্রিটজকের জন্য স্বপ্নের মতো। যেখানে তিনি রেকর্ডের সঙ্গে রীতিমতো সংসার পেতেছেন। ব্রিটজকে কতটা উড়ন্ত ফর্মে আছেন তা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম চার ম্যাচের পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। তার রানের চিত্রটা যথাক্রমে– ১৫০, ৮৩, ৫৭ ও ৮৮। সর্বশেষ আজ (শুক্রবার) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন ব্রিটজকে। এ ছাড়া ত্রিস্তান স্টাবস ৭৪ রান করলে আগে ব্যাট করা প্রোটিয়ারা অলআউট হওয়ার আগে ২৭৭ রান তুলেছে। এর আগে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অজিদের ৯৮ রানের রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়েছিল সফরকারী প্রোটিয়ারা। ওই ম্যাচেও ৫৭ রান করেছিলেন ব্রিটজকে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ডানহাতি এই ব্যাটার নিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। অভিষেক ম্যাচেই খেলেন রেকর্ডগড়া ১৫০ রানের ইনিংস। ব্রিটজকের পরবর্তী ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। ওই ম্যাচে তিনি ৮৩ রান করেন। ওয়ানডেতে অভিষেকের পর টানা চারটি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলার রেকর্ড ছিল ভারতীয় ব্যাটার নভোজাত সিং সিধুর–ও। যদিও সিরিজের মাঝে একটি ম্যাচে তার ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়নি। তার আগে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দেয় ভারত। ১৯৮৭ সালে ওই কীর্তিতে নাম লিখিয়েছিলেন ভারতের সাবেক ব্যাটার সিধু। ঘরের মাটিতে রিলায়েন্স বিশ্বকাপে খেলতে নেমে প্রথম পাঁচ ম্যাচেই চারটি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। একদিক থেকে তার ওপরেই আছেন ব্রিটজকে। এ ছাড়া ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম চার ম্যাচ শেষে সর্বোচ্চ রানের তালিকায়ও সবার ওপরে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৪ ম্যাচে ৯৪.৫০ গড় এবং ১০৩.২৭ স্ট্রাইকরেটে তিনি ৩৭৮ রান করেছেন। এতদিন ক্যারিয়ারের প্রথম চার ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান নেওয়ার বিশ্বরেকর্ডটি ছিল বর্তমান প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার দখলে। ৭০ গড় এবং ৯৬.৯৫ স্ট্রাইকরেটে তিনি ২৮০ রান করেছিলেন।