আগামী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার ছিল জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ হতে কাউন্সিলরদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। এরই মাঝে নির্বাচন ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক ও উত্তেজনা। রোববার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ ও বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সভাপতি পদপ্রার্থী তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘আমি নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বর্তমান সভাপতি এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে কাউন্সিলর মনোনয়নের ক্ষেত্রে সরাসরি চিঠি পাঠিয়ে প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে। এটা কোনো নির্বাচন নয়, বরং এক ধরনের 'সিলেকশন' চলছে।’

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল বিসিবি। তামিমের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন গঠনের পরও মনোনয়ন জমার সময়সীমা একতরফাভাবে বাড়ানো হয়েছে। যা নিয়মের পরিপন্থী বলে মনে করেন তামিম। তামিম বলেন, ‘প্রথমে ১৭ তারিখ থেকে সময় বাড়ানো হয় ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পরে আবার ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রথমবার যখন সময়সীমা বাড়ানো হয়, তখন তাদের পরিচালক গ্রুপে বিষয়টি প্রস্তাব আকারে দেয়া হয়। কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন সময়সীমা বাড়ানো হলো, তখন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নিজের ইচ্ছাতেই সময়সীমা বাড়িয়ে দিলেন।’ যদিও সংবাদ সম্মেলনে তামিম কারো নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি, তবে তার ইঙ্গিত ছিল সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার দিকে। তবে দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপের বিষয়ে তামিমের অভিযোগ পুরোই অস্বীকার করেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। আমরা কেবল আমাদের রুটিন কাজ করছি। আমাদের অধীনস্ত যে কারো সঙ্গে আমি কথা বলতেই পারি, আমার সচিব কথা বলতেই পারে। এটা সরকারের রুটিন কার্যক্রম। এটাকে হস্তক্ষেপ বলার সুযোগ নেই।’ যোগ করেন, ‘যদি কেউ মনে করে সরকারের এখতিয়ার ছাড়িয়ে কিছু হয়েছে, তাহলে তারা আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে, এমনকি আইসিসিকেও জানাতে পারে।’ তবে নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, সে লক্ষ্যেই ক্রীড়া সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের কাউন্সিলর হিসেবে রাখার কথাও বলেন উপদেষ্টা, ‘ক্রীড়া সংস্থার বাইরের কাউকে কাউন্সিলর করা হলে হাইকোর্টে রিট হতে পারে। তাই আমরা চাচ্ছি যেন নির্বাচন যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়।’

তিনি বলেন, আমি তামিম ভাইয়ের ফ্যান। কিন্তু তামিম ভাইকে সামনে রেখে একটা দল এসব করছে। তামিম ভাই যদি পাবলিকের হয়ে বিসিবিতে প্রতিনিধিত্ব করতেন সেটা বেটার হতো।’