এক ম্যাচ বাকি থাকতেই পাকিস্তানের কাছে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। লাহোরে প্রথম ম্যাচে ৩৭ রানে হারের পর শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটে-বলে কোনো দিক থেকেই সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা। দুই ম্যাচেই অসহায় আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের। তবে লিটন দাস এখনই হাল ছাড়তে রাজি নন। তার আশা, শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে টাইগাররা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের আরও একটি সুযোগ আছে। এই মুহূর্তে আমাদের একসঙ্গে বসে আলাপ করতে হবে কীভাবে আমরা শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারি। কারণ এটি পুরোপুরি মানসিকতার ব্যাপার।’ সিরিজ হারের পর হতাশায় আচ্ছন্ন অধিনায়ক লিটন দাস। অধিনায়ক বললেন, বাংলাদেশ তাদের বেসিক কাজগুলো ঠিকভাবে করছে না। শাহিবজাদা ফারহানের ৭৪, মোহাম্মদ হারিসের ৪১ ও হাসান নওয়াজের ৫১ রানের সুবাদে পাকিস্তান ৬ উইকেটে ২০১ রান করে। ফের ২০২ রানের লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে আশা জাগালেও ভেঙে পড়ে ব্যাটিং ইউনিট। তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট তিন ওভারে ৩৮ রান তোলে বাংলাদেশ। ৪৪ রানে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যাওয়ার পর বিপর্যয়ের শুরু। ৩৩ রানের ব্যবধানে সাত উইকেট হারায় তারা। ৪৪ থেকে ৭৭ রান করতেই দশম ওভারে নেই সাত ব্যাটার। ওই সময়ে দুই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে সফরকারীদের বিপদে ফেলেন আবরার আহমেদ। লিটন বললেন, ‘যে ভালো ব্যাটিং শুরু করে, তার উচিত ১৩-১৪ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে যাওয়া। চার ওভারের পর আমরা ভালো খেলিনি, পরপর উইকেট হারিয়েছি।’ লিটন আউট হওয়ার পর তার ব্যাটিং সঙ্গী তাওহীদ হৃদয়ের ওপর ক্ষোভ ঝারেন, আগের ডেলিভারিতে সিঙ্গেল নিতে চাননি তার অন্য প্রান্তের ব্যাটার। অধিনায়ক বললেন, ‘না, সেটা না। কিন্তু ক্রিকেটে আপনাকে বেসিক কাজগুলো করতে হবে এবং আমরা এই মুহূর্তে সেটা করছি না। যদি পরপর উইকেট পড়ে, তাহলে রান নেয়া যায় না। তাই আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু আমাদের এখানে মনোযোগ দিতে হবে।’ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল ইসলাম বল হাতে নেন। তৃতীয় বল করে একটি শট থামাতে গিয়ে বেকায়দায় পা পড়ে কুচকিতে চোট পান তিনি। আর মাঠে দেখা যায়নি তাকে। এই পেসারকে হারানোর পর বাংলাদেশ ধাক্কা খেয়েছে মনে করেন লিটন, ‘আমার মনে হয় শরিফুল যখন চোট পেলো, ওই সময় মোমেন্টাম পুরোপুরি সরে গেছে। আমাদের বোলিংয়ে ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। তবুও আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ালাম।’ আজ বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ এড়াতে মাঠে নামবে। লিটন বললেন, ‘আমাদের আরেকটি সুযোগ আছে। এখন আমাদের বসে কথা বলতে হবে। কীভাবে আমরা শক্তিশালী হয়ে ফিরতে পারি সেটা ভাবতে হবে। এটা মানসিকতার ব্যাপার।’ একই মাঠে আজ রোববার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে বাংলাদেশ।