আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের ফেরার সম্ভাবনা ক্রমশই ক্ষীণ হয়ে আসছে। তবে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় বৈধ হওয়ার পর আবারও আলোচনায় আসে সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের তারকা এই অলরাউন্ডারের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পথ খুলে গেছে। নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি মিললেও ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের জাতীয় দলে ফেরার অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি। ইংল্যান্ডের পর চেন্নাইয়ে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় টানা দুবার ব্যর্থতার কারণে সাকিবকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে রাখা হয়নি। এর আগে ভারতের বিপক্ষে কানপুরে টেস্ট চলাকালীন আনুষ্ঠানিকভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি। সেই সময় টেস্ট ও ওয়ানডে থেকেও বিদায়ের পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে সাকিবের অবসর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। ভারত সিরিজের পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনুপস্থিত আছেন তিনি। একসময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাকিবের নাম একটি হত্যা মামলায় উঠে আসার পর থেকেই তার মাঠে ফেরার সম্ভাবনা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থাকছেন সাকিব। মাঝে মাঝেই তার দেশে ফেরার গুঞ্জন উঠছে। তবে টাইগার অলরাউন্ডার দেশের মাটিতে পা রাখেননি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, সাকিবের ফেরার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিসিবির একার হাতে নেই। বিসিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা (বিসিবি) তার ফেরার সম্ভাবনা একেবারেই দেখছি না এটা বলা ঠিক হবে না। সাকিব আবার ক্রিকেটে ফিরবেন এমনটি আমাদেরও প্রত্যাশা। কিন্তু তার ফেরাটা শুধুমাত্র ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে না। সরকারের অনুমোদনও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। যদি তিনি সবুজ সংকেত পান, তাহলে অন্তত আরও এক-দুই বছর ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য তার রয়েছে।’ সম্প্রতি নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার ইঙ্গিত দেন সাকিব। এর আগেও তিনি ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়ে ফিরে এসেছেন। তবে এবার তার ফেরার পথে রয়েছে আইনি জটিলতা। ঢাকার একটি আদালত সম্প্রতি চেক প্রতারণা মামলায় সাকিবের সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া একটি ব্যাংকের মামলায় হাজির না হওয়ায় জানুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়। ফলে সবকিছু নির্ভর করছে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর। সাকিব নিজেও অনুমতির অপেক্ষায় আছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ফেরার সম্ভাবনা ক্রমশই ক্ষীণ হয়ে আসছে।