ওয়ানডে ক্রিকেটে বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রধান দুর্বলতা ছিল মিডল অর্ডারের ভঙ্গুরতা। সর্বশেষ আফগানিস্তান সিরিজেই মিডল অর্ডার ধসে যাওয়ায় তাদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে টাইগারদের। সেই ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। তবে প্রথম ম্যাচের শুরুটা মোটেও আশানুরূপ ছিল না। মাত্র ৮ রানেই দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। এই দুজন ক্রিজে এসে শুরু থেকে ধীর গতিতে ব্যাটিংয়ে দলকে একটু একটু করে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজন মিলে করেছেন মূল্যবান ৭১ রান। এই জুটি গড়েই বাংলাদেশ একটি বিরল ‘কীর্তি’ অর্জন করেছে। ২০২৫ সালে ওয়ানডেতে এই প্রথম তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫০ রান যোগ করতে পারল টাইগাররা। বিষয়টি তেমন আহামরি না হলেও চলতি বছরে বাংলাদেশ সেই কাজটিই করতে পারছিল না।
দল যে ওয়ানডেতে কতটা ভুগছিল, তার প্রমাণ মেলে চলতি বছর তৃতীয় উইকেটে গড়া জুটিগুলোর দিকে তাকালেই। এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত খেলা আটটি ওয়ানডেতে তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ছিল মাত্র ৪২ রানের। বাকী ম্যাচগুলোতে তৃতীয় উইকেটে জুটিগুলোর রান ছিল- ২৪, ৩৩, ১, ৩৭, ৪২, ২৮, ১৫ ও ১২।
অবশেষে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে সেই খরাটা কাটাল বাংলাদেশ। চলতি বছর প্রথমবারের মতো তৃতীয় উইকেট জুটিতে ‘ফিফটি’র দেখা পেল টাইগাররা।