আইসিসি টেস্ট অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে দুইয়ে উঠে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যাটে-বলে সমান তালে পারফর্ম করেছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। সিরিজ সেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন। টেস্ট সংস্করণের অলরাউন্ডারদের তালিকায় এক ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা দুইয়ে আছেন মিরাজ। তার রেটিং পয়েন্ট ৩২৭। শীর্ষে থাকা ভারতের রবীন্দ্র জাদেজার (৪০০) সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান ৭৩। তবে মিরাজের চোখ অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে এক নম্বরে। গতকাল মঙ্গলবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিরাজ বলেন, 'অবশ্যই খুবই ভালো লাগার বিষয়। সত্যি কথা বলতে এক নম্বরে আসতে পারলে আরও ভালো লাগবে। লক্ষ্য তো অবশ্যই অনেক উপরে যাওয়ার। দিন শেষে নিজে ফিট থাকতে হবে, ভালো খেলতে হবে, পারফরম্যান্স করতে হবে; তো ওভাবে অনেক বড় চিন্তা করছি না। ছোট ছোট ভাবে এগোতে চেষ্টা করছি।' সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যাট-বলে দারুণ ছন্দে ছিলেন মিরাজ। সিলেটে প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেন মিরাজ। জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট পেয়েছেন। দুই ইনিংসেই ফাইফারে ম্যাচে ১০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের ইনিংস ও ১০৬ রানের জয়ের নায়ক মিরাজ। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পরে প্রতিপক্ষের দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে নেন ৫ উইকেট। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এদিকে বাংলাদেশের বোলিং কোচ হলেন শন টেইট। বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে কোচিংয়ের সময় মিরাাজ ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অধিনায়ক। পুরোনো অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন এই অলরাউন্ডার। ‘দেখেন শন টেইটের সঙ্গে এর আগে আমি কাজ করেছিলাম। আমি যেবার বিপিএলে অধিনায়ক ছিলাম চিটাগংয়ের সেবার শন টেইট কিন্তু কোচ ছিল। তো আমার কাছে মনে হয় ওর সাথে বোঝাপড়াটা খুব ভালো ছিল। একজন মানুষ হিসেবে ও (শন টেইট) অনেক ভালো। অনেক দয়ালু এবং সাহায্যকারী।’ ২০২৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের ডাগআউটে থাকবেন টেইট। মিরাজ মনে করেন তার মতো কোচ দলের জন্য ভালো। ‘আমার মনে হয় এরকম টাইপের কোচ থাকা দলের জন্য খুবই ভালো।
আমি নিজেও ওকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি জানি ও খেলোয়াড়দের অনেক সাপোর্ট করে। এবং ও নিজে যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলে। ও জানে এখানে কি করতে হবে। আমার মনে হয় এটা ভালো পজিটিভ দিক আমাদের দলের জন্য যে ওকে বেছে নেয়া হয়েছে।’