দেশের ক্রিকেট থেকে তারকা ক্রিকেটাররা একে একে অবসর নিতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিদায় বলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। সেই স্থান পূরণে বিকল্প খুঁজে ফিরছে বিসিবি। এজন্য জেলা-উপজেলা থেকে নতুন ক্রিকেটার খুঁজে বের করতে আঞ্চলিক ক্রিকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। গতকাল সকালে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মত হতে যাওয়া আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের উদ্ধোধন শেষে এ কথা বলেন তিনি। দেশের আগামী দিনের ক্রিকেট তারকারা স্কুল মাঠেই লুকিয়ে আছে বলে বিশ্বাস করেন বুলবুল। বুলবুল বলেন, ‘আগামী দিনের তামিম, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ এরা সবাই স্কুলে আছে। এটা আমাদের দায়িত্ব কীভাবে এই ট্যালেন্টগুলোকে বের করে নিয়ে আসতে পারব। স্কুল ক্রিকেট অনেকদিন ধরেই হচ্ছে, কিন্তু এবার নতুন উদ্যোগে স্কুল ক্রিকেট করব। যেখানে শুধু স্কুল ক্রিকেট খেলবেই না, আমরা দেশজুড়ে ক্রিকেট ফ্যানও তৈরি করব।” এই উদ্যোগের জন্য শুধু খেলোয়াড়দের প্রতিভা বিকাশ নয়, দেশের প্রতিটি জেলায় ক্রিকেটের সংস্কৃতি এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাও শক্তিশালী হবে বলে ধারণা বিসিবি সভাপতির। বুলবুল বলেন, ‘এখান থেকে শুধু খেলা হবে না, এখান থেকে আমরা সুপার ট্যালেন্টগুলো বের করব।’ দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাকেও চট্টগ্রামের মতো এমন আয়োজনের আহবান বিসিবি সভাপতির, ‘এটা পরিকল্পনার পর্যায়ে ছিল। মাঠে নিয়ে আসার জন্য প্ল্যানটা করেছে আকরাম খান ও তার দল... আমার মনে হয়, বিকেন্দ্রীকরণটা শুধু প্রতিযোগিতামূলক নয়। প্রতিটা জেলার যে নিজস্ব ক্রিকেট সত্তা আছে, তারা যেন সেটা প্রস্ফুটিত করতে পারে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে শক্তিশালী ক্রিকেটাররা জেলায় এসে খেলতে পারে।

সেই জেলা শুধু ক্রিকেট দল নয়, যেন একটা পুরো ক্রিকেট পরিবার তৈরি করতে পারে, যেখানে ফিজিও-ট্রেনারসহ সব সাপোর্ট স্টাফ থাকবে।’ চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে নতুন ক্রিকেটার তুলে আনার লক্ষ্যে আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে বিসিবি। বিভাগের ১১টি জেলা থেকে একটি করে দল অংশ নিচ্ছে এই টুর্নামেন্টে। প্রতিদিন দুটি করে খেলা অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের দুটি সেমিফাইনাল হবে ৮ সেপ্টেম্বর ও ফাইনাল ৯ সেপ্টেম্বর। টুর্নামেন্টে জয়ী দল পাবে ১ লাখ টাকা।