চলতি মাসে বাংলাদেশ সফরে আসছে নেদারল্যান্ড। এই সফরে একটি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না এলেও আগামী ১৯ থেকে ২৫ আগস্টের মধ্যে হতে পারে সিরিজটি। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশের আর কোনো সিরিজ নেই। আসন্ন এশিয়া কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তাই আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর ব্যস্ত সূচির কারণে বিকল্প হিসেবে সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে বিসিবি। এই তালিকায় ছিল নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। বিসিবির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসতে যাচ্ছে নেদারল্যান্ডস। সেক্ষেত্রে কোন ভেন্যুতে খেলা হতে পারে তা নিয়েও চলছে জল্পনা।

এশিয়া কাপ সামনে রেখে ভালো উইকেটেই প্রস্তুতি সারতে চায় ক্রিকেটাররা। সেক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে সিলেট অথবা চট্টগ্রামের যে কোনো এক ভেন্যুতে খেলা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গিয়েছে। এদিকে, এশিয়া কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী ৬ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের স্কিল ও ফিটনেস ক্যাম্প। ক্যাম্প চলাকালীন এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হলে সেটা হবে এশিয়া কাপের জন্য আদর্শ প্রস্তুতি। তবে শেষ মুহূর্তে যদি বিদেশি দল না আসে, তাহলে বিকল্প হিসেবে জাতীয় দলের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে দুটি দল গঠন করে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করবে বিসিবি। এর আগে পাকিস্তান সিরিজ শেষে বিসিবির কাছে একটি সিরিজ আয়োজনের দাবি জানিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক লিটন দাস। বিসিবিও চেষ্টা করছিল সেটি। বিসিসির ক্রিকেট পরিচলনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছিলেন, বড় দলগুলোর পূর্ব নির্দারিত সূচি থাকায় নেপাল বা নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে প্রধান কোচ ফিল সিমন্স ১৫ আগস্ট ঢাকায় ফিরবেন এমনটি জানা গেছে। পাকিস্তান সিরিজ শেষ করে ক্রিকেটাররা নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ব্যস্ত। দেশে কিংবা কেউবা আবার বিদেশে অবস্থান করছেন। কোচিং স্টাফরাও রয়েছেন ছুটির আমেজে। চলতি মাসে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল ভারতের। তবে শেষ মুহূর্তে ভারত বেঁকে বসায় সিরিজটি পিছিয়ে গেছে। নতুন সূচি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারে ভারত। গেল মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ খবর নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।