বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন মাত্রা যোগ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) বিদেশি ক্রিকেটার এবং দল অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এনসিএলে প্রতি দলেই অন্তত একজন বিদেশি খেলোয়াড় যুক্ত করার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে, পাশাপাশি বিসিএলে একটি বিদেশি দল, সম্ভবত আফগানিস্তানের ‘এ’ দল বা হাই পারফরম্যান্স ইউনিটকেও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।বিসিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্রিকবাজকে জানান, ‘আমাদের সময়েও এনসিএলে বিদেশি খেলোয়াড় ছিল। আমি মনে করি এটা প্রতিযোগিতা বাড়াবে। এখন এনসিএলে উইকেটে অনেক ঘাস রাখা হয়, যেখানে বিদেশি পেসাররা ভালোভাবে কার্যকর হতে পারেন।’তবে তিনি বিদেশি খেলোয়াড়দের প্রাপ্যতা নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেন। উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের লাল বলের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট যেমন রঞ্জি ট্রফি বা কায়েদে আজম ট্রফির সময়সূচির সঙ্গে এনসিএলের সময় প্রায় মিলে যাওয়ায় ভারতের বা পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির খেলোয়াড়দের পাওয়া কঠিন হতে পারে। তাই বিসিবি আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, এমনকি আয়ারল্যান্ডের খেলোয়াড়দের দিকেও নজর দিচ্ছে।
এবারের ঘরোয়া মৌসুম ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে, যার ফাইনাল হবে ৪ অক্টোবর। এই আসরটি তিনটি ভেন্যু রাজশাহী, বগুড়া এবং সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে। বিসিবির প্রোগ্রামস বিভাগের প্রধান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, ‘গত বছর সময় কম ছিল, তাই একটি ভেন্যুতে আয়োজন করা হয়েছিল। এবার সময় বেশি, তাই তিন ভেন্যুতে আয়োজন করা হচ্ছে।’
চারদিনের এনসিএল শুরু হবে ১৫ অক্টোবর, যা শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। এরপর ৪ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে ৫০ ওভারের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্ট, যা বিসিএলের অংশ হিসেবে গণ্য হবে।বিসিবির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, বিসিএলে অংশগ্রহণকারী বিদেশি দলের মধ্যে একটি দল আফগানিস্তান থেকে আসবে। ওই সূত্র জানিয়েছে, ‘এটা প্রায় নিশ্চিত। আমরা বিসিএলে একটি বিদেশি দল আনছি, সম্ভবত আফগানিস্তান থেকে তাদের ‘এ’ দল অথবা হাই পারফরম্যান্স দল।