স্পোর্টস রিপোর্টার: টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে নর্দার্ন টেরিটোরিকে হারিয়ে সেমির খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ ‘এ’ দল । নাইম শেখ ও জিসান আলমের ব্যাটে ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তারা। বাকি ব্যাটারদের কেউই পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন ও ইয়াসির আলী রাব্বির ক্যামিও ইনিংসে বাংলাদেশ ‘এ’ দল পায় ১৭২ রানের পুঁজি। ডারউইনে ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জেইক ওয়েদারল্যান্ড ও ডি আর্সি শর্ট মিলে নর্দার্ন টেরিটোরিকে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের উদ্বোধনী জুটি বড় হতে দেননি হাসান মাহমুদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ডানহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন ওয়েদারল্যান্ড। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় শর্ট থার্ডম্যানে থাকা রাকিবুল হাসানের হাতে ক্যাচ দেন। ৩ বলে ৪ রান করে তিনি আউট হন। আরেক ওপেনার শর্টও সুবিধা করতে পারেননি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে লেগ সাইডে টেনে খেলতে চেয়েছিলেন।
টপ এজ হয়ে সোহানের হাতে ক্যাচ দেন। ৭ বলে ৭ রান করা শর্টও ফিরেন। পরের ওভারে ফিরেছেন স্যাম ইল্ডারও। তোফায়েল আহমেদের বলে পুল করতে গিয়ে সোহানকে ক্যাচ দেন। ২৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর কনোর ক্যারল ও জর্ডান সিল্ক মিলে ৮৪ রানের জুটি গড়েন। ক্যারলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রাকিবুল। বাঁহাতি স্পিনারের জোরের উপরের ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন ক্যারল। উইকেটকিপার সোহান সহজেই স্টাম্পিং করলে ৩০ বলে ৪৩ রান করে ফিরতে হয় তাকে। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি সিল্কেরও। রাকিবুলকে সুইপ করার চেষ্টায় টপ এজ হয়ে ডিপ মিড উইকেটে নাইম শেখকে ক্যাচ দেন। ৪১ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। দ্রুতই ফিরে যান ম্যাট হ্যামন্ডও। আরেক ব্যাটার টম অ্যান্ড্রুস আউট হন ১৬ বলে ১৮ রান করে। নর্দার্ন টেরিটোরি ১৫০ রানে থামলে ২২ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। সফরকারীদের হয়ে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন রাকিবুল, হাসান ও তোফায়েল। তাদের সবাই দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন। একটি উইকেট নিয়েছেন পেসার রিপন ম-ল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন নাইম ও জিসান। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৫ রান তোলে বাংলাদেশ।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে টম মেঞ্জিসের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল ডাউন দ্যা উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ আউট হন নাইম। ৬ চারে ১১ বলে ২৫ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। পাওয়ার প্লে শেষে ফিরেছেন তিনে নামা সাইফ হাসানও। বাঁহাতি স্পিনার শর্টের ঝুলিয়ে দেয়া বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন। ওপেনার জিসান ফিরেছেন হ্যামন্ডের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে। ২৩ বলে ৩০ রান করেন তিনি। পরবর্তীতে সোহান ও আফিফ দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। ৫ চার ও এক ছক্কায় ২৩ বলে ৩৫ রান করা সোহান ফিরলে ভাঙে জুটি। পরবর্তীতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ ১৭২ রানের পুঁজি পায়। আফিফ ৪১ ও ইয়াসির ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন। টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে সোহানদের এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের দুইটিতে জয়।
স্কোর:
বাংলাদেশ ‘এ’: ২০ ওভারে ১৭২/৪ (নাঈম ২৫, জিসান ৩০, সাইফ ৩, আফিফ ৪১*, সোহান ৩৫, ইয়াসির ২২*; মেনজিস ৪-০-৪৩-২, রিচার্ডসন ১-০-২১-০, হ্যামন্ড ৩-০-২৭-১, শর্ট ৪-০-১৯-১, অ্যান্ড্রুস ৪-০-৩৭-০, মার্টিন ৪-০-১৯-০ )।
নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইক: ২০ ওভারে ১৫০/৭ (শর্ট ৭, ওয়েদারাল্ড ৪, ক্যারল ৪৩, এল্ডার ৩, সিল্ক ৪৮, অ্যান্ড্রুস ১৮, হ্যামন্ড ৫, ম্যাকম্যাহন ১০*, মার্টিন ৫*; নাঈম ৪-০-৩১-০, হাসান ৪-০-২৩-২, রিপন ৪-০-৪৪-১, তোফায়েল ৪-০-২৬-২, রকিবুল ৪-০-২২-২)।
ফল: বাংলাদেশ ‘এ’ দল ২২ রানে জয়ী।