বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল পাকিস্তানের। তবে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের কারণে এ সিরিজ মাঠে গড়ানো নিয়ে তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। দুই প্রতিবেশী যুদ্ধ বন্ধের সিদ্ধান্তে সব শঙ্কা কাটিয়ে অবশেষে হতে চলেছে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এ সিরিজ। তবে ৫ ম্যাচের সিরিজ নেমে এসেছে ৩ ম্যাচে। আসন্ন এই সিরিজকে সামনে রেখে দলের কোচিং স্টাফে রদবদল এনেছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের মাইক হেসনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান দলের নতুন হেড কোচ হিসেবে, যিনি সদ্য বিদায়ী আকিব জাভেদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। তবে শুধু প্রধান কোচ নয়, আগের সব কোচিং স্টাফকে পরিবর্তন করে নতুন কয়েকজনকে নিয়োগ দিয়েছে। আগের মেয়াদে বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করা আজহার মাহমুদ পাকিস্তানের নতুন কোচিং প্যানেলে জায়গা পাননি। সম্প্রতি তিনি প্রধান কোচের জন্য আবেদন করেছিলেন। তার জায়গায় নতুন বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি নফকে। এছাড়া নতুন ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন হানিফ মালিক। শুধু নতুন প্রধান কোচ, বোলিং কোচ কিংবা ব্যাটিং কোচ নয়, পুরো কোচিং স্টাফেই পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান। নতুন সহকারী স্টাফদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ মাসরুর (ফিল্ডিং কোচ), ক্লিফ ডিকন (ফিজিওথেরাপিস্ট) এবং ইমরানউল্লাহ (স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ)। এছাড়াও থাকবেন টিম অ্যানালিস্ট, ডাক্তার, সিকিউরিটি ম্যানেজার, মাসেজার ও মিডিয়া ম্যানেজার। ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে তরুণ ব্যাটারদের সাথে কাজ করে আসছেন ৪৪ বছর বয়সী হানিফ। সম্প্রতি পাকিস্তান ব্যাটারদের ধারাবাহিকতার অভাব বেশি ফুটে উঠেছে। দলের ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা এবং শট নির্বাচনের উন্নতি করাই মূল লক্ষ্য হবে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হানিফের। দেশের জার্সিতে কখনওই খেলার সুযোগ হয়নি তার। ২০১০ সালে সর্বশেষ ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন হানিফ। ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোচ নফকে। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে বিভিন্ন দলের সাথে কাজ করেছেন তিনি। বিগ ব্যাশ লিগে ব্রিসবেন হিটের কোচিং স্টাফও ছিলেন নফকে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২টি টি-টোয়েন্টি ও ১টি ওয়ানডে খেলেছেন নফকে। ওয়ানডেতে ১ এবং টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। মূলত পাঁচ ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ হওয়ার কথা থাকলেও সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক বিবেচনায় তা কমিয়ে তিন ম্যাচে নামিয়ে আনা হয়েছে এবং সব ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। ম্যাচগুলো হবে ২৮ মে (বুধবার), ৩০ মে (শুক্রবার) ও ১ জুন (রবিবার), প্রতিটি ম্যাচ শুরু হবে স্থানীয় সময় রাত ৮টায়।

পাকিস্তানের স্কোয়াড : সালমান আলী আগা (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হারিস রউফ, হাসান আলী, হাসান নাওয়াজ, হুসেইন তালাত, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, মোহাম্মদ ইরফান খান, নাসিম শাহ, সাহিবজাদা ফারহান (উইকেটরক্ষক ব্যাটার), সাইম আইয়ুব।

বাংলাদেশের স্কোয়াড : লিটন দাস (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকের আলি অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, তাওহীদ হৃদয়, শেখ মেহেদী (সহ-অধিনায়ক), রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম। ইন্টারনেট।