আবারও শাস্তি পেলেন তাওহীদ হৃদয়। আগের শাস্তি এক বছরের জন্য স্থগিত করার পরদিনই নতুন করে এই শাস্তি পেলেন ২৪ বছর বয়সী জাতীয় দলের এই ব্যাটার। শনিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মোহামেডানের জার্সিতে খেলতে নেমেছিল দলের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। কিন্ত মাঠে নেমেই ফের শাস্তি পেলেন জাতীয় দলের এই ডানহাতি ব্যাটার। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তষ্ট প্রকাশ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাথে নামের পাশে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়। নামের পাশে ৮ ডিমেরিট থাকাতে হৃদয় নতুন করে নিষিদ্ধ হলেন চার ম্যাচ।

তাই খেলতে পারবেন না আবাহনীর বিপক্ষে ডিপিএলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ । সিসিডিএমের পক্ষ থেকে মোহামেডানে ক্লাবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তাওহিদ হৃদয়ের এই শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শনিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মোহামেডানের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। ব্যাট হাতে এদিন তিনি ৫৪ বলে ৩৭ রান করেন। তবে আউট হওয়ার পরই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন হৃদয়। ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার পর ক্রিজে দাঁড়িয়ে হতাশার সঙ্গে আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে হাত দিয়ে কিছু ইঙ্গিত করে কথা বলছিলেন তিনি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতি বিরক্তি ও অসন্তোষ দেখানোয় তাকে নতুন করে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এই ঘটনায় তাওহীদ হৃদয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার নামের পাশে যোগ হয়েছে আরও ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট। এই ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হওয়ার ফলেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন তার মোট ডিমেরিট পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৮-এ। নিয়ম অনুযায়ী, ৮ ডিমেরিট পয়েন্ট হলে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হন ক্রিকেটাররা। ফলে শাস্তির খড়গ নেমে এসেছে তাওহীদ হৃদয়ের উপর। ডিপিএলের শিরোপা নির্ধারণী গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে মোহামেডান তাদের অধিনায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান হৃদয়কে পাবে না। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতি বিরক্তি ও অসন্তোষ দেখানোয় তাওহিদ হৃদয়ের এসব কাজ খেলোয়াড় আচরণবিধি পরিপন্থি। আম্পায়ারদের রিপোর্টে বিষয়গুলো উঠে আসার পর শনিবারই আম্পায়ার্স রুমে এ নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই শুনানিতে তাওহিদ হৃদয়কে ডাকা হলেও তিনি আসেননি। আচরণ বিধি লঙ্ঘণের দায়ে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১ থেকে ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়ার নিয়ম। ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ আচরণ বিধির লেভেল-১ লঙ্ঘণের দায়ে তাওহিদ হৃদয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট শাস্তি ঘোষণা করে। সিসিডিএম থেকে মোহামেডান ক্লাবের কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তাওহিদ হৃদয়ের আমলনামায় আগে থেকেই ৭টি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত ছিল। নতুন একটি পয়েন্ট যুক্ত হওয়ায় মোট ৮ পয়েন্ট হয়ে গেলো। খেলোয়াড়দের জন্য প্রণীত বিসিবি আচরণবিধির ৭.৫ ধারা অনুসারে ৮ থেকে ১১ ডিমেরিট পয়েন্ট হলে অটোমেটিক চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হবেন সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার। সে হিসেবে তাওহিদ হৃদয়কে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো।