ক্যাচ তুলেই দিয়েছিলেন হ্যারি ব্রুক। ব্যাট করতে নেমে হাঁসফাঁস করতে থাকা ইংলিশ ব্যাটসম্যান দিনের শেষ ওভারে যশপ্রীত বুমরার বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ সিরাজের হাতে। তবে আম্পায়ার দিলেন সংকেত ‘নো’। দিনের শেষ ওভার করতে গিয়ে এটি ছিল বুমরার তৃতীয় ‘নো’ ডেলিভারি। আগের দুটিতে একটি করে বাড়তি রান চলে যাওয়ার ক্ষতি গায়ে না লাগলেও ব্রুককে ‘জীবন’ দেওয়া নিশ্চয়ই আক্ষেপে পোড়াতে পারে। শেষবেলায় কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও দিনটা ভারতের জন্য একেবারে মন্দ যায়নি। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২০৯ রান তুলতে গিয়ে হারিয়েছে ৩ উইকেট। সব কটি উইকেটই নিয়েছেন বুমরা। তবে ইংল্যান্ডের বড় স্বস্তি, এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন ওলি পোপ। তিন নম্বরে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় দিনের শেষে ১০০ রান নিয়ে অপরাজিত। হেডিংলিতে পাঁচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় দিনটা শেষ আধা ঘণ্টার আগপর্যন্ত বেশ ভালোই কেটেছে। ভারতকে প্রথম ইনিংসে ৪৭১ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর প্রথম ওভারে জ্যাক ক্রলিকে হারালেও পোপ আর বেন ডাকেট মিলে ভালো সামলে নিয়েছিলেন। দুজনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১২২ রান যোগ করার পর ডাকেট (৬২) আউট হলেও আরেকটি ভালো জুটি গড়ে তোলেন পোপ–জো রুট। দিনের খেলা যখন মিনিট বিশেক বাকি, তখনই ৮০ রানের জুটি ভাঙে রুটের আউটে (২৮)। রুট, ডাকেট আর ক্রলিÍতিনটি ভিন্ন সময়ের উইকেটই নিয়েছেন বুমরা। ক্রলি ও রুটকে স্লিপে করুন নায়ারের ক্যাচ বানিয়ে, ডাকেটকে বোল্ড করে। এর আগে ভারত আগের দিনের ৩ উইকেটে ৩৫৯ রানের সঙ্গে ১১২ রান যোগ করে অলআউট হয়ে যায়। এর মধ্যে সকালে দিন শুরু করা শুবমান গিল ও ঋষভ পন্তের জুটি থেকেই আসে ৭১ রান। গিল প্রথম দিনের ১২৭ রানের সঙ্গে ২০ রান যোগ করে শোয়েব বশিরের বলে ক্যাচ দিলে ভারতের চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে ৪৩০ রানে। এরপর ৪১ রান তুলতেই পড়ে বাকি ৬ উইকেট। এই উইকেট মিছিলের মধ্যেই সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন পন্ত। আগের দিনের ৬৫ রান নিয়ে নামা ই বাঁহাতি ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে আউট হওয়ার আগে করেন ১৭৮ বলে ১৩৪ রান। তাঁর ইনিংসে ১২টি চারের সঙ্গে ছিল ৬টি ছক্কা, ইংল্যান্ডে অতিথি দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যা ইনিংস–সর্বোচ্চ।