বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গত আগস্ট থেকে নবেম্বর মাসের মধ্যে কয়েকটি ধাপে ১৪টি ভিন্ন ব্যাংকে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট (এফডিআর) স্থানান্তর করেছে। এই বিশাল অঙ্কের অর্থ স্থানান্তর নিয়ে গুঞ্জন উঠলে বিসিবি তা অস্বীকার করে একটি বিবৃতি দিয়েছিল। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তিনি জানান, অধিক লাভ ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে অর্থ সরাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বিসিবির অভ্যন্তরীণ নিয়ম মানা হয়েছে কিনা, তা মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখবে।শনিবার বিকেলে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের নিয়োগ পরীক্ষার শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, তিনি বিসিবির সভাপতি ও পরিচালকদের সঙ্গে এই এফডিআর স্থানান্তর নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, বিসিবির আয় আসে বিভিন্ন উৎস থেকে, যার মধ্যে এফডিআরের ইন্টারেস্ট রেট অন্যতম এবং এই আয় বিসিবির অপারেশনাল নির্বাহে ব্যায় হয়।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানান, যেখানে বিসিবির এফডিআরের রেট ছিল ৭-৮ শতাংশ, সেখানে নতুন করে স্থানান্তরিত অর্থে রেট পাওয়া যাচ্ছে ১১-১২ শতাংশ। অধিক মুনাফার আশাতেই এই স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়াও,অর্থ স্থানান্তরের পেছনে আরেকটি কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন যে, ‘যে ব্যাংকগুলো থেকে অর্থ সরানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ওই ব্যাংকগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের হলুদ সংকেত ছিল, মানে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক। বিসিবি কিংবা আপনার নিজেও টাকাও তো ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকে রাখতে চাইবেন না।’ মন্তব্য করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তবে, পুরো প্রক্রিয়াটি খতিয়ে দেখবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া জানান, ‘বিসিবির অভ্যন্তরীণ যে নিয়ম, সেটা কোনোভাবে ভঙ্গ করা হয়েছে কি না, সেটা আমরা দেখব।