তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে শ্রীলংকা। প্রথম দুই ম্যাচে হেরে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচেও শ্রীলংকাকে ম্যাচ জয়ের কোনো সুযোগ দেয়নি পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচে লংকানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। ফলে ওয়ানডে সিরিজে পঞ্চমবারের মত শ্রীলংকাকে হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ ওভারে ৫৫ রান তুলেন শ্রীলংকার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কামিল মিশারা। দলীয় ৬৯ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরেন তারা। নিশাঙ্কা ২৪ ও মিশারা ২৯ রান করেন। তৃতীয় উইকেটে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার ৪৩ রানের জুটিতে ১শ রান স্পর্শ করে শ্রীলংকা। কুশল ৩৪ রানে ফেরার পর দ্রুত ২ উইকেট হারায় লংকানরা। কামিন্দু মেন্ডিস ১০ ও জানিথ লিয়ানাগে ৪ রানে আউট হন। এক প্রান্ত আগলে রানের চাকা সচল রেখে হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান সামারাবিক্রমা। কিন্তু ২ চারে ৪৮ রানে বিদায় নেন তিনি। এতে ১৬৬ রানে ৬ উইকেট পতনে ২শর নীচে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে শ্রীলংকা। অভিষিক্ত পাভান রত্নানায়েকের দৃঢ়তায় ২শ পার করতে পারে সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত ৪৫.২ ওভারে ২১১ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন ৩৭ বলে ৩২ রান করা রত্নানায়েকে। মোহাম্মদ ওয়াসিম ৩টি, হারিস রউফ ও ফয়সাল আকরাম ২টি করে উইকেট নেন। জবাবে ওপেনার হাসেবুল্লাহ খান শূন্য রানে ফিরলে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার ফখর জামান ও বাবর আজম। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে আউট হন ফখর। ৮ চারে ৪৫ বলে ৫৫ রান করেন তিনি। উইকেটে সেট হয়ে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৪ রানে থামেন বাবর। দুই সেট ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ের পর পাঁচ নম্বরে নামা সালমান আঘাও ৬ রানে আউট হলে চাপে পড়ে পাকিস্তান। ১১৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর পঞ্চম উইকেটে ১২২ বলে ১শ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হুসেন তালাত। ৪ চারে রিজওয়ান ৯২ বলে ৬১ এবং তালাত ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন। স্পিনার জেফরি ভান্ডারসের ৩ উইকেট শিকার পাকিস্তানের জয়ের পথে কোন বাঁধা সৃষ্টি করতে পারেনি। ম্যাচ সেরা হন ওয়াসিম ও সিরিজ সেরা হন রউফ।