ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফাইনালের পথে আফগানিস্তান। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল আফগানিস্তান। রশিদ খানের দল প্রতিশোধের স্বাদ মিটিয়ে এবার জয় ছিনিয়ে নিলো ১৮ রানে। এই জয়ের ফলে ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল আফগানরা।
তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল আফগানিস্তান। আর পয়েন্ট হলো ৪। সমান পয়েন্ট আছে পাকিস্তানেরও, তবে দুই ম্যাচে কোনো জয় না পাওয়া স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত তলানিতে। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তান শুরুতেই হারায় উইকেটকিপার ব্যাটার গুরবাজকে। তবে সেই ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ইতিহাস গড়েন ইব্রাহিম জাদরান ও সেদিকুল্লাহ অটল। দুজনের ১১৩ রানের জুটি পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানিস্তানের যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। ইব্রাহিম খেলেন ৬৫ রানের ইনিংস, অটলের ব্যাট থেকে আসে ৬৪ রান। শেষ দিকে কিছুটা উইকেট হারালেও স্কোরবোর্ডে ভরসা জাগানো ১৬৯ রান দাঁড় করাতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান। বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে একাই আলো ছড়ান ফাহিম আশরাফ। তিনি ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে গড়েন নিজের সেরা বোলিং ফিগার। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে পাকিস্তান। ওপেনার সাইম আইয়ুব শূন্যরানে ফেরার পর বেশি টিকতে পারেননি সাহিবজাদা ফারহানও। দুজনকেই ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকি। ফখর জামান ও অধিনায়ক আগা সালমান কিছুটা লড়াই করলেও তাদের বিদায়ের পর ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। একসময় স্কোর ৬২/২ থেকে নেমে যায় ১১১/৯। শেষ উইকেটে হারিস রউফ দেখালেন তা-ব। ১৬ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে রাখার চেষ্টা করেন। সুফিয়ান মুকিমকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেন ৪০ রান। যা পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে শেষ উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি। তবে তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ১৫১/৯ এ।
আফগানিস্তানের হয়ে চারজন বোলার সমান সাফল্য ভাগ করে নেন। নুর আহমেদ, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান ও ফারুকি প্রত্যেকে নেন দুটি করে উইকেট। রহস্যময় স্পিনার আল্লাহ গজরফর অভিষেক ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। সিরিজের পয়েন্ট টেবিলে এখন পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সমান দুই জয়ে শীর্ষে। স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত এখনো জয়ের মুখ দেখেনি। বাকি ম্যাচগুলোতে আমিরাত হেরে গেলে নিশ্চিত হয়ে যাবে রোববারের পাকিস্তান-আফগানিস্তান ফাইনাল।