আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশান্তরী হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে আছেন সাকিব আল হাসান। বর্তমানে সাকিব রাজনৈতিক কারণে আছেন দেশের বাইরে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নির্বাচন করতে যাচ্ছেন তার বন্ধু তামিম ইকবাল। একটি বড় রাজনৈতিক দলের সমর্থনও রয়েছে তার পেছনে। বিসিবির পরিচালক পদে নির্বাচন করে তামিম যদি বোর্ড সভাপতি হন, তাহলে সাকিব আবারও মাঠে নামতে পারবেন কি না এমন প্রশ্ন উঠছে। তবে কারও কারও মত, পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হবে না। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি একটি অনলাইন পোর্টালের সাথে খোলাখুলি কথা বলেছেন তামিম।

সাকিবের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে তামিম বলেন, ‘সে একজন একটিভ ক্রিকেটার। সে বাংলাদেশের ক্রিকেটার। এখন সে যদি ফিট থাকে, অনুশীলন করতে পারে এবং নির্বাচকরা যদি তাকে দলে রাখার যোগ্য মনে করেন, অবশ্যই সে যোগ্য। তাহলে সে জাতীয় দলের জন্য আবারও নির্বাচিত হবে। তাকে দেশে ফেরানোটা আমার হাতে নেই। এখানে আইনি বিষয় জড়িয়ে আছে। এদিকে সাকিবের বিরুদ্ধে দেশে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা মামলাও আছে। এমন পরিস্থিতিতে তামিম বললেন, ‘দেশের পরিস্থিতি তো আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। তার বিরুদ্ধে মামলা আছে, সে যদি সেগুলোর মুখোমুখি হতে পারে এবং জাতীয় দলের অনুশীলন করতে পারে, নিঃসন্দেহে তার জন্য দরজা খোলা থাকবে। সে আমেরিকান ক্রিকেটার নয়, পর্তুগিজ ক্রিকেটার নয়, সে বাংলাদেশের।’ জাতীয় দলে খেলতে হলে সাকিবকে আগে দেশে ফিরতেই হবে বলে মত তামিমের, ‘কোর্টে মামলা চালানো, মামলা উঠিয়ে নেওয়া তো বিসিবির বিষয় না। সাকিবকে দেশের হয়ে খেলতে হলে আগে দেশে ফিরতে হবে, অনুশীলন করতে হবে। এটাই হলো সত্যি কথা। আমি কোনো কিছু লুকাচ্ছি না। এটা সাকিবেরও দেশ, ক্যারিয়ারটাও তার, সুতরাং এসব সে করবে কি না সেটা তার সিদ্ধান্ত। এটা আমি বলে দিতে পারি না।’