প্রথমবারের মতো সালমান আলী খান আগাকে অধিনায়ক করে একটি নতুন দল নিয়ে নিউজিল্যান্ডের হ্যাগলি ওভালে নামে পাকিস্তান। ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এখন থেকেই নতুন মুখ নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। নতুন শুরুর ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দিশা হারিয়ে ফেলে সফর কারীরা। ১৮.৪ ওভারে ৯১ রানে অলআউট হয়ে যায়। ক্ষদ্র চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে নেমে ৫৯ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান শুরু থেকেই বিপদে ছিল।
অভিজ্ঞ ওপেনিং জুটি মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজমের পরিবর্তে কিছু প্রমাণ না করেই সুযোগ পেয়েছেন মোহাম্মদ হারিস এবং হাসান নওয়াজ। দুজনই প্রথম আট বলের মধ্যে কোনও রান ছাড়াই বিদায় নেন। এরপর ইরফান খান ও সাদাব খানও ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। দলীয় ১১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর, সালমান এবং খুশদিল শাহ পাকিস্তানের ইনিংসে কিছুটা গতি আনেন। তারা ইশ সোধির করা দশম ওভারে ১৪ রান এবং মাইকেল ব্রেসওয়লের করা একাদশ ওভারে ১৫ রান সংগ্রহ করেন। ফলে পাকিস্তান ৯ ওভার শেষে ৪-২৮ থেকে ১১ ওভারে ৫-৫৭ তে পৌঁছে যায়। তবে জ্যাকব ডাফি খুশদিলকে ৩২ রানে সাজঘরে ফেরান। এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরাও ফেরেন দ্রুত। ফলে পাকিস্তান ইনিংস শেষ হয় ৯১ রানে, ৮ বল আগেই। যা তাদের টি-২০ আন্তর্জাতিক ইতিহাসের পঞ্চম সর্বনিম্ন স্কোর। কাইল জামিসন ৮ রানে নেন ৩ উইকেট। আরেক পেসার জ্যাকব ডাফি ৪ উইকেট শিকার করেছেন মাত্র ১৪ রান খরচ করে জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো শুরু করেন দুই ওপেনার। দুজনই দেড়শ স্ট্রাইকরেটে ব্যাড়িং করেন।
টিম সেইফার্ট ২৯ বল ৪৪ রান করে আবরার আহমাদের শিকারে পরিণত হন। তবে আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেন ১৭ বল থেকে ২৯ রান করেন সহজেই স্বাগতিকদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ম্যাচ শেষে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান বলেন, “এটা কঠিন ম্যাচ ছিল। আমরা ভালো খেলতে পারিনি। তারা সঠিক জায়গায় বল করেছে এবং তাদের জন্য সুইং এবং সিম ছিলও। আমাদের পরবর্তী ম্যাচের আগে এক দিন সময় আছে, আমরা চেষ্টা করব নিজেদেরকে শুধরাতে এবং পরবর্তী ম্যাচে ভালো করতে।”