মোস্তফা মোঘল, বগুড়া অফিস: বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চারদিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে আরও ভয়ংকর রূপে আবির্ভুত হয়েছিলেন বোলাররা। সবুজ ঘাষযুক্ত উইকেটের শতভাগ ফায়দা তুলে নিয়েছেন বোলাররা। একদিনে ১৫ উইকেটের পতন ঘটেছে। পেসারদের সাথে সমান তালে উইকেট শিকারে মেতেছেন দুই দলের দুই স্পিনার রিশাদ ও তানভীর। রংপুরকে অল্প রানে বেঁধে ফেলেও স্বস্তিতে নেই বরিশাল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে রীতিমত পরাজয়ের আশংকা ভর করেছে বরিশাল শিবিরে। দ্বিতীয় দিন শেষে বরিশালের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৯০ রান। লিড মাত্র ৮৪ রানের।

আগের দিনের ২ উইকেটে ৪৩ রান নিয়ে খেলতে নেমে বরিশালের বোলারদের ওপর চড়াও হতে পারেনি রংপুরের ব্যাটাররা। দলের একজন ব্যাটারও ফিফটির দেখা পাননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেটের পতনের মাঝে বড় কোন জুটিও গড়ে ওঠেনি। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর মিডল অর্ডারে নাসির হোসেন, মীম মোসাদ্দেক এবং অধিনায়ক তানভীর হায়দার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও সফল হননি। ফলে ২০২ রানেই শেষ হয়েছে রংপুরের প্রথম ইনিংস। মাত্র ৬ রানের লিড পায় তারকা খচিত দলটি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করে করেছেন মীম মোসাদ্দেক এবং নাসির হোসেন, ৩০ রান করেছেন অধিনায়ক তানভরি হায়দার। বরিশালের রুয়েল, মিশু এবং অধিনায়ক তানভীর ইসলাম নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

রংপুরকে অল্প রানে আটকে রাখা গেলেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় পরাজয়ের শংকা জেগেছে বরিশাল শিবিরে। দ্বিতীয় ইনিংসে রংপুরের বোলারদের সামনে একে পর এক অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন বরিশালের ব্যাটাররা। দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৭ উইকেটে ৯০ রান। তাজামুল সর্বোচ্চ ২ রানে অপরাজিত আছে। জাহিদুজ্জামান ১৩ এবং ইমনের ১২ ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান দুইং অংকের ঘর ছুঁতে পারেননি। রংপুরের সবচেয়ে সফল বোলার রিমাদ হোসেন নিয়েছেন ৬ ওভারে ২৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। পেসার মুগ্ধ নিয়েছেন ২টি এবং মেহেধী হাসানের শিকার ১ উইকেট। আজ ম্যাচের ৩য় দিন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বরিশাল ১ম ইনিংস: ১৯৬, (ফজলে রাব্বী ৮০, ইমন ২৭, অনিক ২৩, রবিউল ২৫/৫, মুকিদ ৪৬/৩)

রংপুর ১ম ইনিংস: ২০২/২ (নাসির ৩৭, মীম ৩৭, তানভীর ৩০, নবিন ২৬, নাঈম ২১, মিশু ৫৮/৩, রুলে ৪৯/৩, তানভীর ৩৪/৩)

বরিশাল ২য় ইনিংস: ৯০/৭ (তাজামুল ২২*, রিশাদ ২৪/৩, মুগ্ধ ২২/২)