DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

ক্রিকেট

পরিসংখ্যানে ভারতের চেয়ে এগিয়ে থেকে নামছে পাকিস্তান

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আজ মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-ভারত। পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ মানেই ডু অর ডাই ম্যাচ। অবশ্য আজকের ম্যাচটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ন পাকিস্তানের জন্য।

স্পোর্টস ডেস্ক
Printed Edition
champion-trophy-logo

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আজ মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-ভারত। পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ মানেই ডু অর ডাই ম্যাচ। অবশ্য আজকের ম্যাচটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ন পাকিস্তানের জন্য। কারণ এই ম্যাচে হারলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাদ পড়তে হবে স্বাগতিক পাকিস্তানকে। তাই এই ম্যাচ নিয়ে আরো বেশি সতর্ক পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে নামার আগে ওয়ানডে ফরম্যাটে জয় বিবেচনায় ভারতের চেয়ে এগিয়ে থেকেই মাঠে নামবে পাকিস্তান। ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ১৩৫ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও ভারত। এরমধ্যে পাকিস্তানের জয় ৭৩টিতে, ভারতের জয় ৫৭টিতে। ৫টি পরিত্যক্ত হয়। তবে সর্বশেষ ১৫ ম্যাচ বিবেচনায় এগিয়ে ভারত। ১০টিতে জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। পাকিস্তানের জয় ৪টিতে। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। এছাড়া সর্বশেষ ৬ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জয় আছে ভারত। শুধু ওয়ানডে ফরম্যাটোই নয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জয় বিবেচনায় এগিয়ে পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মোট পাঁচবার ভারতের মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান। এর মধ্যে তিনবার জিতেছে পাকিস্তান; দুটিতে ভারত। অর্থাৎ অতীত রেকর্ড ও ইতিহাসের দিকে তাকালে পাকিস্তানকে বেশ আত্মবিশ্বাসী এবং আশাবাদী মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। এছাড়া দুবাইয়ে ভারতকে হারানোর রেকর্ড আছে পাকিস্তানের। এ ভেন্যুতে দুইবার ভারতকে হারিয়েছে আনপ্রেডিক্টেবলরা। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। এরপর ২০২২ এশিয়া কাপ সুপার ফোর পর্বে ৫ উইকেটের ব্যবধানে জিতেছে পাকিস্তান। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। তবে দেশ দুটির রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেখানে গিয়ে খেলতে রাজি নয় ভারত। তাই হাইব্রিড মডেলে রোহিত-কোহলিরা তাদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। এমনকি টিম ইন্ডিয়া যদি ফাইনালে উঠে তাহলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালও অনুষ্ঠিত হবে দুবাইয়ে; অন্যথায় ফানালের ভ্যেনু পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম। এদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। তাই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে মহারণটা মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলের জন্য অলিখিত ফাইনালও বলা চলে। এই মহারণে হারলে যে আসর থেকে বিদায় ঘন্টা বেজে যাবে পাকিস্তানের। ম্যাচের দুদিন আগেই দুবাইয়ে পৌঁছেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। অন্যদিকে বরাবরের মতো এবারও আইসিসির কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচের আগে দুবাই স্টেডিয়ামের মূল উইকেটেই অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে ভারত দল। এই ব্যাপার নিয়ে চারদিকে চলছে সমালোচনা। দুবাইয়ের মাঠে নামার আগের রেকর্ড বিবেচনায় পাকিস্তানের তারকা পেসার হারিস রউফের কণ্ঠেও ফুঠে উঠেছে আশার বাণী। আইসিসি একাডেমিতে অনুশীলনের আগে তিনি বলেন, ‘আমরা দুবাইয়ে ইতোমধ্যে দুইবার ভারতকে হারিয়েছি এবং এবার সেটিকে তিনে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবো। আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং দারুণ এক লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’ আইসিসির ওয়ানডে ফরম্যাটের টুর্নামেন্টগুলোতে ভারতের আধিপত্য বেশি। এছাড়া প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার বাড়তি চাপ অনুভব করছে পাকিস্তান। অতীত ভুলে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের দিকেই হাঁটতে চান হারিস রউফ। তিনি বলেন, ‘যা হয়ে গেছে তা অতীত। আমরা এখন শুধু ভারত ম্যাচের ওপর মনোযোগ দিচ্ছি। ভুলগুলো সংশোধন করছি এবং নিশ্চিত করছি যে, আমরা সেগুলো পুনরাবৃত্তি করবো না। এটি আমাদের জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচ এবং সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে আমাদের জিততেই হবে।’ উচ্চ-চাপের মধ্যে দলের মনোবল অটুট রয়েছে উল্লেখ করে ডানহাতি পেসার বলেন, ‘সকল খেলোয়াড় উচ্ছ্বসিত। আমরা ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং– প্রতিটি বিভাগেই আমাদের সেরাটা উজাড় করে দেবো। কোনো অতিরিক্ত চাপ নেই; আমরা এটি শুধুমাত্র আরেকটি ম্যাচ হিসেবেই দেখছি।’ পাকিস্তানের পেস আক্রমণ বরাবরই শক্তিশালী। তবে রউফ মনে করেন, পিচের কন্ডিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, ‘পিচ কখনো কখনো স্পিন সহায়ক হতে পারে। আমরা উইকেট পর্যবেক্ষণ করবো এবং প্রতিটি ব্যাটসম্যানকে লক্ষ্য করে পরিকল্পনা করবো।’ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে একটা জায়গায় একমত দুই দেশের সাবেকরা। টুর্নামেন্টের স্বার্থে চান পাকিস্তানের জয়। মেন ইন গ্রিনরা না থাকলে যে টুর্নামেন্টের জৌলুসই থাকবে না। থাকবে না আরেকটা পাক-ভারত ম্যাচের সম্ভাবনা। পাকিস্তানের অনুশীলনে একজন বিশেষ কোচ। বাবর-রিজওয়ানদের দীক্ষা দিলেন মুদাসসর নজর। ভারতকে হারানোর টোটকা দিলেন এ সাবেক ক্রিকেটার। তবে তা কতটুকু কাজে আসবে? মেন ইন গ্রিনদের ওপর বিন্দুমাত্র আস্থা নেই সাবেকদের। কারণ এই দলে কোন ম্যাচ উইনার খুঁজে পাননি শহীদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি বলেন, পাকিস্তানের চাইতে ভারতীয় দলে ম্যাচ উইনারের সংখ্যা বেশি। একজন ম্যাচ উইনার জানে একাই কিভাবে ম্যাচ জেতাতে হয়। এই মুহূর্তে এমন কোন ক্রিকেটার আমাদের দলে নেই। তবে আফ্রিদির সঙ্গে একমত নন যুবরাজ সিং। দুবাইয়ের কন্ডিশন পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার।