DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

ক্রিকেট

তরুণদের গুলশানের কাছে হেরে গেল মোহামেডান

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) নবাগত দল গুলশান ক্রিকেট ক্লাব যে চমক দেখাতে পারে, তা হয়তো অনেকেই কল্পনা করেনি।

স্পোর্টস রিপোর্টার
Printed Edition
gulsan

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) নবাগত দল গুলশান ক্রিকেট ক্লাব যে চমক দেখাতে পারে, তা হয়তো অনেকেই কল্পনা করেনি। তারকাবিহীন, তরুণদের নিয়ে গড়া দলটি প্রথম ম্যাচেই অভিজ্ঞতা ও তারকায় ঠাসা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ১০৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিলো! মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৯৮ রান তোলে গুলশান। এরপর মোহামেডানের ব্যাটিং লাইনআপকে ১৯১ রানে গুটিয়ে দিয়ে দাপুটে জয় নিশ্চিত করে দলটি। নবাগত গুলশানের এই চমকপ্রদ জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইফতিখার হোসেন ইফতি। ব্যাট হাতে ১০৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর বল হাতে মোহামেডানের ৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

২৯৯ রানের বিশাল লক্ষ্যে নেমে শুরু থেকেই ধাক্কা খেতে থাকে মোহামেডান। দলের তারকা ওপেনার ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল ২২ রান করে বিদায় নেন। ওয়ান ডাউনে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩১ রান করলেও সেট হয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন আরিফুল হক, কিন্তু তার ইনিংসও যথেষ্ট হয়নি মোহামেডানের ভরাডুবি আটকাতে। তার বিদায়ের পর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। গুলশানের হয়ে ইফতি ৩টি, আজিজুল হাকিম তামিম ও ইলিয়াস সানি ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া রায়হান আলী ইকরাম, নিহাদ উজ্জামান ও আসাদুজ্জামান পায়েল ১টি করে উইকেট তুলে নিয়ে মোহামেডানকে ১৯১ রানে অলআউট করে দেন। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গুলশান। ওপেনার আজিজুল হাকিম তামিম (৪) ও খালিদ হাসান (৮) দ্রুত ফিরে যান। কিন্তু এরপরই দলের হাল ধরেন জাওয়াদ ও ইফতি। তাদের ৮৩ রানের জুটির পর জাওয়াদ ৮৬ বলে ৭৫ রান করে বিদায় নেন। এরপর ইফতি ও হাবিবুর শায়েখ মুন্নার ৯৪ রানের জুটিতে গুলশান বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায়। মুন্না ৫৩ বলে ৪৭ রান করেন। কিন্তু আসল আলো কেড়ে নেন ইফতিখার হোসেন ইফতি। ১১০ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। শেষদিকে মেহেদী হাসান (১৩ বলে ২০) ও নিহাদুজ্জামান (৮ বলে ১৩) রান করে দলকে ২৯৮ রানের পুঁজি এনে দেন।

মোহামেডানের দলে তামিম, মাহমুদউল্লাহ, সাইফউদ্দিন, ইবাদত, রনি তালুকদারের মতো জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের উপস্থিতি ছিল। কিন্তু তরুণদের নিয়ে গড়া গুলশানের বিপক্ষে তারা একেবারেই নিষ্প্রভ। ডিপিএলের নবাগত দলের বিপক্ষে এমন পরাজয় মোহামেডানের জন্য বড় সতর্ক সংকেত। অন্যদিকে, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব দেখিয়ে দিলো যে তারা শুধু অংশ নিতে আসেনি, লড়তেও এসেছে!